Dhupguri Murder

মামাকে খুন‌ করতে ভাড়াটে খুনি, ভাগ্নে সহ গ্রেপ্তার ছয়

জেলা

Dhupguri Murder

মামাকে মারতে দিল্লি থেকে আনাহলো ভাড়াটে খুনি! গভীর রাতে জানালা ভেঙে ঘড়ে ঢুকলো দুষ্কৃতী। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন! খুনের ঘটনায় ভিন রাজ্যের দুই কিশোরী সহ ৫ জনের যোগ। খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬ জন। মৃতের নাম মেহতাব আলম (৩৮) আহত স্ত্রী মৌমিতা দাস (৩৩)। ঘটনা ধূপগুড়ি থানার অন্তর্গত আংরাভাসা সজনা পাড়া এলাকার।
স্থানীয়দের কথা অনুযায়ী জানা গেছে, গভীর রাতে মেহতাবের স্ত্রী মৌমিতাকে আহত রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে বসে থাকতে দেখতে পেয়ে এলাকার কিছু মানুষের সন্দেহ হয়।  তাঁর কাছে জানতে চান কি হয়েছে এত রাতে কেন রাস্তার পাশে। তখন তিনি এলাকার লোকেদের বিষয়টি জানান। ততক্ষনে অভিযুক্তরা সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছে। 
খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ি থানার পুলিশকে। গ্রামবাসীরা নিজেরাই সেই খুনিদের খোঁজ শুরু করেন। শুরু হয় বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি। গ্রামবাসীরা দু'জনকে ধান ক্ষেতে ধরে ফেলেন, তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। অভিযুক্তদের ধরার পর উত্তেজিত জনতা তাদের ধরে মারধর করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে দুষ্কৃতীদের উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের এক আধিকারিক আহত হন। অভিযুক্তদের উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে ধূপগুড়ি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। 


এদিকে এলাকার এক যুবক রাজু ইসলাম আহত মৌমিতাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় দেওমালি এলাকায় সন্দেহভাজন চারজনকে দেখতে পায়। যাদের বিবরণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মৌমিতা দিয়েছিলেন ঠিক তেমনই। সন্দেহ হওয়ায় সাথে সাথে রাজু ইসলাম ও তার দুই বন্ধু চারজনকে ধরার জন্য পিছনে ধাওয়া করে। সেই সাথে উপস্থিত বুদ্ধি লাগিয়ে ফোন করে পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ এবং চারজনকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় মোট ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যার মধ্যে দুজন জন কিশোরী রয়েছে। সকলেই ভিন রাজ্যের হিন্দিভাষী বলে পুলিশের দাবি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর শুক্রবার জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, আংরাভাসার বাসিন্দা মেহতাব আলমের ভাগ্না আফতাব হোসেনের সঙ্গে বিহারের কোনো এক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। আফতাব হোসেন কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকতেন। আসল বাড়ি বিহারে। সেখান থেকেই ভাড়াটে খুনিদের নিয়ে এসে গভীর রাতে মেহতাব আলম ও তার স্ত্রী মৌমিতা দাস কে কুপিয়ে খুন করে। মেহতাব হোসেনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হন স্ত্রী  মৌমিতা দাস। ওই মহিলাকে প্রথমে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় পরে সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জলপাইগুড়ি জেলা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও এই ঘটনার আসল কারণ এখনো জানা যায়নি, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ধূপগুড়ি থানার পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা হলেন, সুমিত চৌধুরী, অভিষেক মাসী, আফতাব আলম, ইয়াসাফ মাসী এবং দুই কিশোরী কীর্তি শাহ ও সাকশি কুমারী মিশ্রা। ধৃতদের মধ্যে পাচ জনের বাড়ি দিল্লির সাগরপুর, মায়াপুরি, ডাবরি, এলাকায়।

Comments :0

Login to leave a comment