জলমগ্ন বহু এলাকা। সবচেয়ে গুরুত্ব পাওয়া উচিত ত্রাণ এবং সহায়তায়। তার বদলে মুখ্যমন্ত্রী, যথারীতি নকল যুদ্ধে নেমেছেন। ব্যর্থতা ঢাকতে নজর ঘোরানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘আমরা আহ্বান জানিয়েছিলাম। রেড ভলান্টিয়ারা বিভিন্ন জায়গায় বন্যার্ত মানুষের সহায়তায় নেমেছেন। সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। জুনিয়র ডাক্তাররাও ঝাঁপিয়ে পড়েছেন আর্তদের সেবায়।’’
এদিনও পাঁশকুড়া এবং দাসপুরে বন্যার্তদের বিক্ষোভ হয়েছে। পুলিশকে দাসপুরে পড়তে হয়েছে বিক্ষোভের মুখে। পাঁশকুড়ায় আর্তদের ওপরই লাঠি চালিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারও করেছেন তিনজনকে।
সেলিম বলেন, ‘‘ডিভিসি’র অপদার্থতা নিশ্চয় রয়েছে। আবার, ১৯৪৮ সালে সংসদে আইন করে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন তৈরি করা হয়েছিল। সেই আইনে রাজ্য প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চাইতে পারে। প্রধান বিচারপতি অভিযোগ শোনা এবং নিষ্পত্তির জন্য ‘আরবিট্রেটর’ নিয়োগ করতে পারে। চোর, ধর্ষকদের বাঁচাতে রাজ্য সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। আর ডিভিসি’র জল ছাড়া এবং বহু এলাকা প্লাবিত হওয়ার পরও কেন যায় না।’’
রাজ্যের প্রতিনিধিকে ডিভিসি থেকে সরিয়ে আনার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পদত্যাগের চিঠিও জমা পড়েছে। তার আগে ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে বিবাদে নামেন মুখ্যমন্ত্রী। পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল আটকানো হয়। সেলিম বলেন, ‘‘আসলে মুখ্যমন্ত্রী নিজের ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরাতে চাইছেন। বিজেপি এটাই চায়।’’
ডিভিসি সংক্রান্ত বিবাদে তৃণমূলের সাংসদরা বা কী করছেন সে প্রশ্নও তোলেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘এখন দিল্লিতে কোনও ধরনার কথা শোনা যাচ্ছে না কেন। আর আধিকারিকরাই বা সাহস করে মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন না কেন আইনি কী কী প্রতিবিধান রয়েছে। আইএএস-দের দিয়ে রাজনীতি করাচ্ছেন। আর রাজনীতিবিদদের দিয়ে কী করাচ্ছেন, সেটিং?’’
অনুব্রত মণ্ডলের পর গরু পাচার মামলায় জামিন পান সহ অভিযুক্ত এনামুল হক। সিবিআইয়ের মামলায় আগেই জামিন পেয়েছিলেন এনামুল। এবার ইডির মামলায় জামিন পেলেন তিনি।
সেটিং প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, ‘‘গরু পাচার, সোনা পাচার, কয়লা পাচার, শিক্ষক নিয়োগ- সব দু্নীতি চেপে দেওয়া হচ্ছে। চিট ফান্ডের সময়ও দেখা গিয়েছে অভিযুক্তদের জামিন মিলেছে। আর কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা তারপরে আর ব্যবস্থা নেয়নি।’’
flood CM SALIM
ডিভিসি’র বেলা সুপ্রিম কোর্টে যায় না কেন রাজ্য, ক্ষোভ সেলিমের
×
Comments :0