GAZA ATTACK

গাজায় চব্বিশ ঘন্টায় নিহত ১৯৫, আওতা বাড়ছে সংঘাতের

আন্তর্জাতিক

পরপর হাসপাতাল ধ্বংসে ক্ষুব্ধ সারা বিশ্ব। ইজরায়েল বেপরোয়াই। বুধবারও ইজরায়েলের বাহিনী হামলা চালিয়েছে আরেক হাসপাতালে। 
খান ইউনিসের এল আমাল হাসপাতালের চারদিকে বোমা ছুঁড়েছে ইজরায়েলের বাহিনী। কেবল এই এলাকায় অন্তত ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। 
গাজার স্বাস্থ্য দপ্তর জানাচ্ছে, গত চব্বিশ ঘন্টায় ইজরায়েলের বোমায় নিহত অন্তত ১৯৫ প্যালেস্তানীয়। আহত আরও ৩২৫ নাগরিক। 
রাষ্ট্রসঙ্ঘের এখন প্রধান উদ্বেগ অবরুদ্ধ এবং বিধ্বস্ত গাজায় ত্রাণের। রাষ্ট্রসঙ্ঘ যদিও কাজের কাজ কিছু করে উঠতে পারেনি। এদিনই সিগরিদ কাগকে গাজার ত্রাণ সমন্বায়ক নিয়োগ করেছেন মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ। যুদ্ধবিরতির জন্য গুতেরেজের বারবার আবেদনেও কোনও কাজ যদিও হয়নি। 
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একটি অংশ মনে করছে বিরতি তো দূর, প্যালেস্তাইন ছাড়িয়ে পশ্চিম এশিয়ার বৃহত্তর ভূখণ্ডে ছড়িয়ে পড়বে সংঘাত। তার শুরুও হয়ে গিয়েছে। 
লেবাননে ইজরায়েলের বোমাবর্ষণে নিহত হয়েছেন একাধিক। আবার লেবানন থেকে হিজবুল্লা ক্ষেপণাস্ত্র ফেলেছে ইজরায়েলের মাটিতে। প্যালেস্তাইনে ইজরায়েলের ধারাবাহিক গণহত্যা সীমানা ছাড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করছে অন্য দেশেও। তার সুযোগে ভূ-রাজনৈতিক আধিপত্য কায়েম রাখতে পুরোমাত্রায় নেমে পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকার বোমায় ইরাকে একাধিক সুরক্ষাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে বুধবারই। ইরাক কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। 
এর মধ্যে আবার তুরস্ক বোমা ফেলেছে ইরাকে। তুরস্ক জানিয়েছে, বিভিন্ন কুর্দ গোষ্ঠীর হামলায় তাদের ১২জন সেনার মৃত্যু হয়েছে। তারই বদলা নিতে এই হামলা। ইরাকের উত্তর অংশ এবং সিরিয়া মিলিয়ে ৭১ জায়গায় বোমা ফেলেছে তুরস্ক।
গাজায় ২১ হাজার ১১০ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আহতের সংখ্যা ৫৫ হাজার ২৪৩। তাঁদের অনেকেই গুরুতর। অথচ হাসপাতাল বেহাল হওয়ায় চিকিৎসার সুযোগ প্রায় নেই।

Comments :0

Login to leave a comment