Amit shah in Tripura

ত্রিপুরায় বামপন্থীরাই আক্রমণের লক্ষ্য শাহের

জাতীয়

অমিত শাহ। ফাইল ছবি।

ত্রিপুরায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে  সিপিআই(এম)-কেই নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সোমবার নির্বাচনী প্রচারে, রাজ্যের বিজেপি সরকারের, পাঁচ বছরের কাজ সম্পর্কে চুপ রইলেন বিজেপি নেতা। রাজ্যের সাফল্য তুলে ধরার মতো  বিশেষ তথ্য বা পরিসংখ্যান ছিল না ভাষণে। 

বামপন্থীরা বলছেন, গত গত পাঁচ বছরের ত্রিপুরায় প্রায় কিছুই করেনি বিজেপি। বেকারদের চাকরি হয়নি। স্কুলে নিয়োগ তো হয়নি উল্টে সরকারি স্কুলগুলোকে বেসরকারিকরণ করা হয়েছে। সেই ১০,৩২৩ জন স্কুল শিক্ষকদেরও আজও কোন সুরাহা হল না। এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। অথচ এই অংশের সমস্যা মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। 

অমিত শাহের বক্তব্যের প্রধান লক্ষ্যই ছিল বামপন্থীদের আক্রমণ করা। এমনকি জনজাতিদের জন্যও বিশেষ কোনও সুবিধে দিতে অপারগ বিজেপি সরকার উন্নয়নের  দাবিতে তুলে ধরল রেল ও আকাশ পথে যোগাযোগকে। প্রসঙ্গত, ২৫ বছর, পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের সময়কালে, উত্তর পুর্বাঞ্চলের (North East) রাজ্যগুলির মধ্যে ত্রিপুরা শিক্ষার দিক থেকে প্রথম স্থানে ছিল। সাক্ষরতায় কেরালাকে ছুঁয়ে ফেলার মতো সাফল্য এসেছিল। আবার রাবার চাষেও কেরালার পরেই ছিল ত্রিপুরা। রেগার কাজেও দেশের মধ্যে এক নম্বর জায়গায় ছিল ত্রিপুরা। উগ্রপন্থার (Terrorist) সমস্য মিটিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পেরেছিল বামফ্রন্ট সরকার। সরকারি ক্ষেত্রে প্রচুর কর্ম সংস্থানও হয়েছিল। কিন্তু এখন এই সমস্ত অতীত। বামপন্থীরা বলছেন, বিজেপির শাসনকালে কোনও কিছুতেই এগিয়ে নেই ত্রিপুরা। অমিত শাহর সারমর্মহীন বক্তব্যই তারই প্রমাণ। 

এদিন সিপিআই(এম) (CPIM)'‘কে বিরোধীদের ওপর সন্ত্রাসের জন্য দায়ী করার চেষ্টা করেছেন শাহ। এবারের নির্বাচনে জনজাতি ভোট বিজেপি’কে দেওয়ার আবেদন জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, তিপরা মথার সঙ্গে সিপিআই(এম)’র গোপন আতাঁত রয়েছে। উদ্দেশ্য, যাতে আদিবাসীরা যাতে তিপরা মোথাকেও ভোট না দেন। পাঁচ বছর আগের ভোটে জনজাতি এলাকায় সমর্থন ছিল এনপিএফটি’র। বিজেপি’র এই জোটসঙ্গী এখন আর সঙ্গে নেই। 

অপরদিকে এদিনই ত্রিপুরাতে উড়ে গেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বিজেপি বিরোধী ভোট একত্রিত করতে যেখানে বামপন্থী দলগুলি কংগ্রেস ও তিপরা মথার সঙ্গেও আলোচনা চালিয়েছে, সেখানে নিশ্চুপ থেকেছে তৃণমূল। বামপন্থীরা বলছেন, ত্রিপুরায় বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ করাই প্রধান উদ্দেশ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর।  অন্য রাজ্যেও  এই একই ভূমিকায় দেখা গেছে বিজেপির এই ‘শ্যাডো দল’কে।  

 

অমিত শাহের ভাষণের পরই এদিন পাঁচ বছর আগের প্রতিশ্রুতির ভিডিও বেরিয়ে পড়েছে সংবাদমাধ্যমে। প্রতি ঘরে চাকরি, সরকারি কর্মচারীদের সপ্তম বেতন কমিশন, ন্যূনতম দৈনিক মজুরি ৩৪০ টাকা, সব যুবকের স্মার্টফোনের মতো চোখ ধাঁধানো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এই শাহই।  সেগুলি মনে করিয়ে বামপন্থীরা প্রশ্ন তুলেছেন, আগেরবারের সেসব প্রতিশ্রুতির কী হলো!

Comments :0

Login to leave a comment