TMC NABAJOWAR

ব্যালট বাক্স ছিনতাই প্র্যাকটিস এবার ভরতপুরে

রাজ্য জেলা

TMC NABAJOWAR দলের প্রার্থী বাছাইয়ের ভোটে ধুন্ধুমারের ছবি।

অনির্বান দে

সিবিআইএর হাতে গ্রেফতার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার বাড়ির ৮ কিলোমিটারে মধ্যেই কুলির ইন্দিরা নগর মাঠে চলছে ‘তৃণমূলের ভোট’। সেই ভোটে ফের ব্যালট বাক্স ছিনতাই প্র্যাকটিস করলেন তৃণমূল কর্মীরা। 

এখানেই শেষ নয়। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে লক্ষ্য করে ‘চোর চোর’ স্লোগান তুলেছে। স্থানীয়রা বলছেন, জনগণকে নিয়ে বামপন্থীদের তোলা স্লোগান জনপ্রিয় হয়েছে তৃণমূলের মধ্যেও। তৃণমূল কর্মীরা অভিযোগ করলেন, অন্য পক্ষ বিজেপি কর্মীদের এনে ভুয়ো ভোট দিচ্ছে। সেই সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে দলের বিভিন্ন পক্ষকে।

তৃণমূল সাংসদ এবং মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর ‘নবজোয়ার যাত্রা’-র এমনই ছবি দেখা যাচ্ছে শুরুর দিন থেকেই। মুর্শিদাবাদে চারদিন চলার পর এদিনই এ জেলায় যাত্রার শেষ দিন। রবিবারও বহরমপুরে ব্যালট বাক্স ঘিরে ঝামেলা হয়েছে। দলের কারা প্রার্থী হবে পঞ্চায়েতে, তার জন্য ব্যালটে মতদানের এই আয়োজন তৃণমূলের।

সোমবার মুর্শিদাবাদের ভরতপুর ১ নম্বর ব্লকের জজান গ্রাম পঞ্চায়েতের ‘ভোটিং বুথ’ থেকে ছিনতাই হল ‘ব্যালট বাক্স’। সেই বাক্স নিয়ে বাগানে দৌড় দিলেন এক তৃণমূল কর্মী। ফেলে দেওয়া হল ব্যালট। যেন পঞ্চায়েত ভোটের নিখুঁত মহড়া। 

ভরতপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ বাগদী অভিযোগ করেছেন, জজান গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী গোলমদন মাঝি  ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা সায়ার আলি সেখ ব্যালট বাক্স নিয়ে পালিয়েছেন। 

সোমবার দফায় দফায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন আলুগ্রাম, শালু গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গোষ্ঠীর তৃণমূল কর্মীরা। বড়ঞাঁর তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, বিজেপির কর্মীরা ভোট দিচ্ছেন। ভোটের অধিকার নেই তৃণমূল কর্মীদের। একে অন্যের দিকে লক্ষ্য করে ‘চোর’ স্লোগানও দিতে শোনা যায় ভরতপুরের তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। তৃণমূল কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন পুলিশ কর্তারা। 

অভিষেকের দাবি, ২০১১'র পর দলে আবর্জনা এসেছে। তিনি বলেন, 

জোয়ার যখন আসে নদীর পাড়ের  আবর্জনা ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ২০১১'র পর অনেক বেনোজল, আবর্জনা আমাদের দলে ঢুকেছিল। যাদের জন্য মানুষের কাছে জবাবদিহি আপনাদের করতে হয়।  সেই আবর্জনা যাতে জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়ে গঙ্গায় ফিরিয়ে দিতে পারি সেজন্য নবজোয়ার নিয়ে এসেছি। 

তৃণমূলের যে নেতাদের নাম সারদা থেকে নিয়োগ দুর্নীতি বা পাচারে এসেছে, তার মধ্যে যদিও, আদি এবং নব, সব ধরনের নেতাই আছেন।

কুলির সভায় ইডি-সিবিআই'র নাম মুখে আনলেন না অভিষেক।আক্রমণ বাড়ালেন বামপন্থীদের উপর।

Comments :0

Login to leave a comment