Demonetisation 7 Years

নোটবন্দির ৭ বছরে দ্বিগুন হয়েছে নগদ

জাতীয়

নোট বদলাতে ব্যাঙ্কের সামনে বিপন্ন জনতার দীর্ঘ লাইনের স্মৃতি ফিরে আসে এই দিনে।

নোট বদলের ৭ বছরে নগদের অঙ্ক দ্বিগুন হয়েছে। ২০১৬’র অর্থবর্ষে দেশের অর্থ ব্যবস্থায় নগদ ছিল ১৬.৬৩ লক্ষ কোটি টাকা। নোট বদলের পর নগদের অঙ্ক কিছু কমে হয়েছিল ১৩.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু ২০২৩-এ নগদের অঙ্ক অর্থব্যবস্থায় ৩৪ লক্ষ কোটি টাকা। 

যে কয়েকটি লক্ষ্য জানিয়ে নোটবন্দির ঘোষণা আচমকা ৮ নভেম্বর, ২০১৬’তে করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তার অন্যতম ছিল ব্যবস্থা থেকে নগদ শুষে নেওয়া। তাঁর যুক্তি ছিল, কালো টাকা নগদে রাখা রয়েছে বড় নোট। বড় নোট ব্যাঙ্কে জমা দিতে বাধ্য করা হলে বেহিসেবি টাকা ধরা পড়ে যাবে। 

নোটবন্দির এই উদ্দেশ্যে কার্যকর হতে হলে বাতিল ৫০০ ও ১ হাজার টাকার নোটের বিপুল অংশ ব্যাঙ্কে জমা না পড়ার কথা। কিন্তু এই দুই নোট যত সংখ্যায় ছিল তার প্রায় সবটাই জমা পড়ে যায় ব্যাঙ্কে। 

বামপন্থী সহ বিভিন্ন অংশই বলেছিলেন কালো টাকা নগদে জমা থাকে না। নগদ শুকিয়ে গেলে বিপর্যস্ত হবে দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্র। হয়েছিলও তাই। বস্তুত অসংগঠিত এবং ক্ষুদ্রশিল্প মারাত্মক আঘাত কাটিয়ে উঠতে পারেনি এখনও। 

নগদের লেনদেন আটকে সন্ত্রাসবাদে টাকার জোগান ঠেকানোর দাবিও তুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তা-ও হয়নি। উলটে মোদীর নয় বছরের কিছু বেশি সময়ে দেখা গিয়েছে একের পর এক ব্যবসায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের টাকা জালিয়াতি করে বিদেশে সরে পড়েছে। দুর্নীতি রোধের যে দাবি নোটবন্দির সময়েও করেছিলেন মোদী, বাস্তবতা তার সঙ্গে খাপ খায়নি মোটেই। 

বুধবার সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘নোটবন্দির যে যে আশঙ্কা আমরা করেছিলাম মিলে গিয়েছে। জনতার জীবনজীবিকায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। মোদী সরকার এখনও অদক্ষ, অকর্মণ্য নীতি নিয়ে চলছে। জনতার বিপুল অংশের জীবমানে ন্যূনতম উন্নতিতে ব্যর্থ এই সরকার।’’

Comments :0

Login to leave a comment