Chandrayaan JU

চন্দ্রযানে জুড়ে আছে যাদবপুরের প্রাক্তনীরাও

রাজ্য

আশ্চর্য করার মতো ঘটনা নয়। তবু চলতি প্রেক্ষিতে চন্দ্রযান অভিযানে যুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তনীদের মনে রাখছে যাদবপুর। 

ইসলামপুরের অনুজ নন্দী স্নাতকোত্তর করেছিলেন যাদবপুরেই। চন্দ্রযান-৩’র প্র‌পালশন মডিউলে জুড়ে থাকা বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান যন্ত্র ‘শেপ’-র কাজে যুক্ত থেকেছেন এই কৃতী। 

কেবল অনুজই নন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সায়ন চ্যাটার্জি বা অমিতাভ গুপ্তও যুক্ত থেকেছেন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইসরোর এই অভিযানে।এই দু’জন কাজ করেছেন নির্বিঘ্নে চাঁদে নামার ব্যবস্থা বা সফ্‌ট ল্যান্ডিং নিয়ে। 

হস্টেলে ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর তদন্তে সোচ্চার হয়েছে সমাজের বিভিন্ন অংশই। বস্তুত ক্যাম্পাসেরই বড় অংশ সোচ্চার তদন্ত চেয়ে। সোচ্চার র‌্যাগিংয়ের অবসান চেয়েও। কিন্তু রাজনৈতিক ফয়দা লোটার খেলায় যাদবপুরকে দেগে দেওয়ার অভিযানও সমান সক্রিয়। সেই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নিজে। দেশের অন্যত্র প্রাণবন্ত ক্যাম্পাসে যে আক্রমণ চালিয়েছে আরএসএস তার সঙ্গে এ রাজ্যে তৃণমূলের বক্তব্যে গভীর মিল অনেকেরই নজরে রয়েছে। বাস্তব যদিও এই যে রাজ্যের তো বটেই, দেশেরও অন্যতম এগিয়ে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে সেই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তনীরা এমন উদ্যোগে জড়িত থাকবেন তাতে আশ্চর্য হওয়ারও নেই। 

২০২০’তেই একটি প্রতিবেদনে দেখা যায় যে চন্দ্রযান-৩ মিশনে যুক্ত আছেন যাদবপুরের ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনসের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সায়ন চ্যাটার্জি। 

আর অমিতাভ গুপ্ত সেই প্রতিবেদনে জানিয়েছিলেন যে ল্যান্ডার নিখুঁতভাবে অবতরণগতি নিয়ন্ত্রণের বিষয় নিয়ে তাঁরা গবেষণা চালাচ্ছেন। 

বস্তুত চন্দ্রযান-২ শেষ মুহূর্তে ভেঙে পড়েছিল চাঁদে। চার বছর আগের সেই ঘটনার কারণ ছিল সফ্‌ট ল্যান্ডিং না হওয়া। গতি কমিয়ে একেবারে সহনীয় স্তরে এনে মাটিতে নামার কৌশল স্বয়ংক্রিয়, তাকে ধাপে ধাপে ত্রুটিমুক্ত করার কাজে এবার প্রবল গুরুত্ব দিয়েছিল ইসরো। 

 

Comments :0

Login to leave a comment