সমবায়কে শক্তিশালী করে কৃষকদের বিমা বা কর্মহীন যুবকদের স্বনির্ভর গোষ্ঠী বা বর্গাদার এবং পাট্টাদারদের জমির অধিকার ফের প্রতিষ্ঠা করা- গ্রাম জীবনে স্বচ্ছ, সমাজমুখী একগুচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করল বামফ্রন্টের ইশতেহার।
বুধবার কলাকাতায় মুফ্ফর আহমদ ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এই ইশ্তেহার প্রকাশ করা হয়। বামফ্রন্টের চেয়ারপ ম্যান বিমান বসু, সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, পলিট ব্যুরো সদস্য সূর্য মিশ্র সহ বামফ্রন্টের নেতৃত্ব ছিলেন সাংবাদিক সম্মেলনে।
এই ইশতেহারে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাঁদের নাম মোবাইল নম্বর নথিভুক্ত থাকবে পঞ্চায়েত ব্যবস্থায়, চায় বামফ্রন্ট। পরিযায়ী শ্্রমিকদের জন্য আলাদা পোর্টাল খোলার লষ্য জানিয়েছে ইশ্তেহার। ইশ্তেহারের বক্তব্য নিয়ে তৈরি হয়েছে ডিজিটাল পোস্টারও।
কৃষকের জন্য গ্রামে খামার পাঠশালা, উপকরণের বন্দোবস্ত বা বনভূমিতে আদিবাসী মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্য জানিয়েছে ইশ্তেহার। বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে শিক্ষা। মাধ্যমিকে প্রায় চার লক্ষ ছাত্রছাত্রী কমেছে। কম বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়া মেয়েদের তালিকায় দেশে সবচেয়ে বেশি ঘটনা যে যে রাজ্যে তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ। স্কুলে শিক্ষক-ছাত্র অনুপাতে ভারসাম্য ফেরানোর লক্ষ্য জানিয়েছে বামফ্রন্ট।
মাইক্রোফিনান্সে চড়া সুদের হারে সবচেয়ে আক্রান্ত মহিলারা, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সাফল্যও আক্রান্ত। গৃহহীন মানুষের জন্য বিশেষ প্রকল্পের লক্ষ্য জানিয়েছে বামফ্রন্ট- আমার বাড়ি। আবাস যোজনায় কেলেঙ্কারির বিরুদ্দে লড়াইয়ের সময়ই সিপিআই(এম) ঘোষণা করেছিল, সব গরিবের ঘর না হওয়া পর্যন্ত চলবে লড়াই। সেই দাবির প্রতিফলন এই লক্ষ্যে।
বামফ্রন্ট চাইছে একশো দিনের বদলে বছরে অন্তত দু’শো দিনের কাজ। সামাজিক বনসৃজনে এগিয়ে ছিল রাজ্য। এখন তৃণমূলের বিধায়কই অভিযোগ তুলছেন গাছ কেটে বেচে দিচ্ছে তৃণমূলের মাতব্বরররা। তারাই আবার প্রার্থী তালিকায়। বামফ্রন্ট চাইছে সামাজিক বনসৃজন ফিরিয়ে আনতে।
আর রয়েছে স্লোগান- তৃণমূল এবং বিজেপি’কে দূর কর। লুট বন্ধ কর। জনগণের পঞ্চায়েত গড়ে তোল।
Comments :0