GERMANY TRANSPORT STRIKE

জার্মানিতে ধর্মঘটে সরকারি পরিবহণ কর্মীরা

আন্তর্জাতিক

GERMANY TRANSPORT STRIKE মিউনিখে মিছিল সরকারি পরিবহণ কর্মীদের। ছবি টুইটার থেকে।

ইংল্যান্ডে দফায় দফায় সরকারি কর্মচারীরা ধর্মঘট করছেন। সরকারি কর্মীরা ধর্মঘটে রয়েছে জার্মানিতেও। শুক্রবার জার্মানির ছয় প্রদেশে বাস এবং ট্রাম পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা ধর্মঘটে নেমেছেন। 

অন্তত ১০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবিতেই মুখ্যত ধর্মঘট। সেই সঙ্গে রয়েছে কাজের পরিবেশ, শ্রম অধিকার সংক্রান্ত দাবিও। জার্মানির বিভিন্ন সংবাদ প্রতিষ্ঠান জানাচ্ছে যে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন শহরে ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে। 

সরকারি কর্মী এবং শ্রমিক সংগঠন ‘ভেরদি’ এই ধর্মঘটে নেতৃত্ব দিচ্ছে। একাধিক ট্রেড ইউনিয়নের সমর্থন রয়েছে ধর্মঘটে। ডিসেম্বর থেকে দফায় দফায় ধর্মঘট হয়েছে জার্মানিতে।  

বাস এবং ট্রাম পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মীরা ধর্মঘটে নেমেছে। রাস্তায় ট্রাম, বাস নেই অনেক শহরেই। ফাঁকা রয়েছে বাস টার্মিনাস। 

বন শহরের পুলিশ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে যে যানবাহনের সংখ্যা রাস্তায় কমে গিয়েছে। হেস, নর্থ রাইন, রাডেন-উরটেসবার্গ, লোয়ার স্যাক্সনি, রাইনল্যান্ডের মতো প্রদেশে সরকারি যানবাহন প্রায় চলেনি। 

মিউনিখের মতো বড় শহরেও বন্ধ থেকেছে বাস, ট্রামের প্রায় অর্ধেক। অগসবার্গ, রেজেনবার্গের মতো বড় শহরেও ধর্মঘটের ভালো প্রভাব পড়েছে। 

সরকারের তরফে ধর্মঘটের বিপক্ষে প্রচারও শুরু হয়েছে। তবে গ্রিন পার্টি ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে। জার্মানির ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশনও সমর্থন জানিয়েছে ধর্মঘটে। বিভিন্ন শ্রমিক এবং কর্মচারী সংগঠনের এই মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসমিন ফাহিমি ধর্মঘট বিরোধী প্রচারকে বোধহীন আখ্যা দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারে ফাহিমি বলেছেন, ‘‘অর্থনৈতিক সঙ্কটের জন্য শ্রমিক বা কর্মচারীরা দায়ী নন। তাঁদেরই বারবার দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে বলা হয়। সরকারি কর্মচারীদের সংযত থাকতে বলা হয়। সামাজিক দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে বলা হয়। কিন্তু জীবনমানের সঙ্কটে যে তাঁরাও, সে কথা বলা হয় না। প্রতিবাদ, বিক্ষোভ বা ধর্মঘট করার অধিকার তাঁদের রয়েছে।’’ 

এর আগে ব্রিটেনে ট্রেন ধর্মঘটে শামিল হন কর্মীরা। তার কিছু পরেই সরকারি স্বাস্থ্য কর্মীরা নামেন ধর্মঘটে। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক এবং তাঁর স্বাস্থ্য মন্ত্রী কিছু দাবি মানার দিকে এগতে বাধ্য হন। কিন্তু বয়ানে সংযত থাকার দায়িত্ব চাপিয়েছিলেন সরকারি কর্মীদেরই ওপর। ধর্মঘট এবং আন্দোলনে শামিল হয়েছেন ফ্রান্সের শ্রমিক কর্মচারীরাও। 

Comments :0

Login to leave a comment