JALPAIGURI HAWKER

বিকল্প না করেই হকার উচ্ছেদ, জলপাইগুড়িতে চলছে আন্দোলন

জেলা

লালঝাণ্ডা হাতে রুজি বাঁচাতে নেমেছেন জলপাইগুড়ির হকাররা।

এক বছরের বেশি সময় আগে জলপাইগুড়ি পৌরসভায় শহরের সমস্ত হকার, ইউনিয়ন ও প্রশাসনের মিটিংয়ে ঠিক হয়েছিল হকারদের তালিকা তৈরি করে পরিচিতি পত্র দেওয়া হবে। আইন অনুসারে টাউন ভেন্ডিং কমিটি গঠিত হবে। বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়া হকার উচ্ছেদ করা হবে না। 
অথচ এতদিনে তার কিছুই করেনি প্রশাসন। উলটে নেমে পড়েছে উচ্ছেদ অভিযানে।  লোকসভা ভোট মিটতেই  হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে জলপাইগুড়ি শহরে।  প্রায় এক সপ্তাহ যাবৎ রাস্তায় দোকান বসাতে পারছেন না হকাররা। এই পেশায় যুক্ত অপরাজিতা রায়, ধর্মা রায়, কৃষ্ণ কুমার মোহন্তরা জানাচ্ছেন সেই সঙ্কটই। যাঁরা দোকান দিয়ে বসছেন তারাও ভয়ে ভয়ে থাকছেন সবসময়। শহরের হকারদের উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে। তাঁরা বলছেন, এবার না খেয়ে মরতে হবে। 
খেটেখাওয়া মানুষের রুজির উপর এই আক্রমণ মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন সিআইটিইউ অনুমোদিত স্ট্রিট ভেন্ডার/হকার্স ইউনিয়নের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক হিমাংশু সরকার। তিনি বলেছেন, ‘‘টাউন ভেন্ডিং কমিটির মিটিংয়ে আলোচনার মাধ্যমে পুনর্বাসন ছাড়া কোনোভাবেই হকার উচ্ছেদ করা যাবে না। টাউন ভেন্ডিং কমিটি পুনর্গঠন করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চ্যাটার্জি।
জলপাইগুড়ি শহরের গত কয়েকদিন ধরে চলছে হকার উচ্ছেদ। রাস্তার পাশে সামান্য দোকানের পশরা সাজিয়ে বসা হকারদের উচ্ছেদ করছে পুলিশ প্রশাসন। অবিলম্বে হকারদের নির্দিষ্ট পরিচিতি পত্র প্রদান, স্ট্রিট হকার সংক্রান্ত ২০১৪ সালের কেন্দ্রীয় আইন এবং ২০১৮’র রাজ্যে আইন দ্রুত লাগু করা, ব্যাঙ্কের জটিলতা কাটিয়ে হকারদের সহজ কিস্তিতে ঋণের বন্দোবস্ত করা, হকার্স কর্নার গঠন সহ টাউন ভেন্ডিং কমিটি গঠন করে হকার্সদের সমস্ত দাবি অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি জানিয়ে সিআইটিইউ জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির উদ্যোগে সিআইটিইউ অনুমোদিত জলপাইগুড়ি জেলা স্ট্রিট ভেন্ডার/ হকার্স ইউনিয়নের ডাকে শুক্রবার দুপুরে জলপাইগুড়ি পৌরসভার গেটে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে জলপাইগুড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন জলপাইগুড়ি শহরের রাস্তায় পেটের টানে হকারি করতে বসা দোকানিরা।  
আইন কার্যকর না করে কোনোভাবেই হকার উচ্ছেদ করা যাবে না, বিক্ষোভে আওয়াজ তোলেন শহরের শহরের হকাররা। জলপাইগুড়ি শহরের ডিবিসি রোড, দিনবাজার, মার্চেন্ট রোড, সমাজ পাড়া, রায়কত পাড়া সহ শহরের সমস্ত এলাকার হকাররা একত্রিত হয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি দিতে গেলে পৌরসভার গেটে আটকে দিয়েছিল পুলিশ প্রশাসন। সেখানেই শুরু হয় বিক্ষোভ। স্মারকলিপি নেন ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চ্যাটার্জি।
তবে আশ্বাস পালনের ভরসায় না থেকে আন্দোলন জারি রাখছে জলপাইগুড়ি জেলা স্ট্রিট ভেন্ডার/ হকার্স ইউনিয়ন।

Comments :0

Login to leave a comment