Karamandal train accident: 3 arrested by CBI

কর্মীদের গাফিলতিতেই করমন্ডল দুর্ঘটনা, ৩ জনকে গ্রেপ্তার সিবিআই’র

জাতীয়

বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনায় তিনজন রেল কর্মীকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই। ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৪ ধারায় ওই তিনজন রেল কর্মীকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার (সিগনাল) অরুণ কুমার মহন্ত, জুনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার এমডি আমির খান ও টেক্নিশিয়ান পাপ্পু কুমার।


সিবিআই’র দাবি ওই তিন জনের এই কাজে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ছিল। তারপরেও এই দুর্ঘটনাটি হয়েছি শুধুমাত্র কর্তব্যের গাফিলতির কারণে। রেলের নির্দেশ অনুযায়ী পর্যাপ্ত সুরক্ষা ও সরেজমিনে সিগনাল ব্যবস্থা দেখাশোনার অভাব ছিল বলে রেলের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে। কমিশন ওফ শেফটি রেলওয়ের (সিআরএস)রিপোর্টেও গাফলতির কথাই উল্লেখ করা হয়েছিল। নাসকতার বিষয় উড়িয়ে দিয়ে সেখানে সিগনালিং দপ্তরের ত্রুটির বিষয়টিই উল্লেখ করা হয়েছিল রিপোর্টে। এর আগে ২০২২’র ১৬ মে খড়গপুর ডিভিশনের বাকরানয়াবাজ ষ্টেশনের কাছে রং ওয়্যারিং কেবল ফল্টের জন্য এই ধরনের একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। ভুল ওয়্যারিং বা রং ওয়্যারিং থাকা সত্বেও তখন বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখেননি কর্মরত আধিকারিকরা। বিষয়টি ক্ষতিয়েও দেখেননি। সিআরএস রিপোর্টে এমনও বলা হয়েছে বারবার সিগনাল ত্রুটি ধরা পরেছিল। একই লাইনে দুটি ট্রেনকে সিগনাল দেওয়া হচ্ছে এই নিয়ে বাহানাগা বাজার ষ্টেশন ম্যানেজারও রিপোর্ট করেছিল। কিন্তু তা এড়িয়ে যায় সিগনাল ও প্রযুক্তি কর্মীরা। যার ভয়াবহ ফল করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা।

[ad}
চলতি বছরের ২ জুন ওড়িষার বালেশ্বরের কাছে করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি উঠে গিয়েছিল লুপ লাইনে দাড়িয়ে থাকা একটি মাল গাড়ির ওপর। ওপর দিকে থেকে আসা ব্যঙ্গালুরু হাওড়া সুপারফাস্ট ট্রেনটি ধাক্কা মারে ওই লাইনের ওপর পড়ে থাকা করমন্ডলের কামরায়। ভারতীয় রেলের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ এই রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২৭৮ জনের আহত হয়েছেন ১,৫০০ কাছাকাছি যাত্রী।

Comments :0

Login to leave a comment