SLUM EVICTION PROTEST

বুলডোজার দিয়ে বস্তি উচ্ছেদ
রোখার শপথ দার্জিলিঙ
জেলার কনভেনশনে

রাজ্য জেলা

SLUM EVICTION নিউ জলপাইগুড়িতে পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতির কনভেনশন।

বুলডোজার দিয়ে গরিব মানুষকে উচ্ছেদ করা যাবে না। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন বা তিনবাত্তি মোড এলাকায় বহু বছর ধরে বস্তিবাসীরা রেলের অব্যবহৃত জমিতে বসবাস করে আসছেন। সেই জমি থেকে তাদের উচ্ছেদের চেষ্টা করা হলে সর্বশক্তি দিয়ে তা প্রতিহত করা হবে। পুনর্বাসনের ব্যস্থা করতে হবে।

পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতির কনভেনশন থেকে জোরালো হয়েছে এই আওয়াজ। সংগঠনের দার্জিলিঙ জেলা কমিটির ডাকে নিউ জলপাইগুড়ির ভক্তিনগর বিবাদী ক্লাব ভবনে এই কনভেনশন হয়েছে সোমবার। সংগঠনের দার্জিলিঙ জেলা কমিটির সভাপতি দিলীপ সিং কনভেনশনের কাজ পরিচালনা করেন। এদিনের কনভেনশনে প্রায় দুই শতাধিক বস্তিবাসী অংশ নেন। 

রাজ্যের তৃণমূল সরকারের ভূমিকায় ক্ষোভ জানিয়েছে কনভেনশনে। অতীতে বামফ্রন্ট সরকারের মেয়াদে উন্নয়ন হয়েছে বস্তিবাসীদের স্বার্থ রেখে। অভিজ্ঞতায় তা উঠে এসেছে। লিজে গরিব মানুষকে দেওয়া হয়েছে জমি।

এনজেপি স্টেশন, ডি এস কলোনি, রেল হাসপাতাল মোড় বাজার, তিনবাত্তি মোড় এলাকা, ফুলবাড়ি ১নং গ্রাম পঞ্চায়েত, মজদুর বস্তি, অম্বিকানগর সহ বিভিন্ন বস্তি এলাকায় রেলওয়ে অব্যবহৃত জমিতে দীর্ঘ বছর ধরে গরিব মানুষ বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি নিউ জলপাইগুড়ি এলাকায় রেলের তরফে উন্নয়নের কথা বলে উচ্ছেদের চেষ্টা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, রিলায়েন্স গোষ্ঠীকে জমি দিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করছে রেল। বিকল্প পুর্নবাসন না করেই উচ্ছেদের চেষ্টা হচ্ছে। 

দাবি উঠেছে, ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। রেলের জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসকারীদের জমির পাট্টা অথবা লিজ দিতে হবে। কনভেনশনে বক্তব্য রাখেন পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতির দার্জিলিঙ জেলা কমিটির সম্পাদক কাজল পাল, জয় চক্রবর্তী, পুলক সেনগুপ্ত প্রমুখ। শিলিগুড়িতে ১৫২টি বস্তি রয়েছে। প্রতিটি বস্তির বাসিন্দারাই তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন কনভেনশনে। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের সময়েও উন্নয়নের কাজ হয়েছে। তখন রেলের কাছ থেকে জমি কিনে গরিব মানুষকে জমি লিজে দেওয়া হয়েছিলো। ১ টাকা দিয়ে ৯৯বছরের জমির লিজ দেওয়া হয়েছিলো। ক্ষতিপূরণ ও বিকল্প ব্যবস্থা করেই উন্নয়নের কাজ হয়েছে। 

এখন দেখা যাচ্ছে অনেক জায়গাতেই রেলের জমির দখল নিয়ে প্রমোটাররাজ চলছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। অসহায় ছিন্নমূল গরিব মানুষের দায়িত্ব রাজ্য ও কেন্দ্র দুই সরকারকেই নিতে হবে। গরিবের পেটে লাথি মেরে উচ্ছেদের চেষ্টা হলে আরও বড় আন্দোলন হবে, ঘোষণা হয়েছে কনভেনশনে।

Comments :0

Login to leave a comment