HEATWAVE

ভারতে তাপপ্রবাহে গভীর সঙ্কটে
কম আয়ের মানুষ, বলছেন বিজ্ঞানীরা

জাতীয়

বিশ্ব উষ্ণায়ন না ঠেকানো গেলে ভারত এবং বাংলাদেশে বাড়বে তাপপ্রবাহের সংখ্যা। বিশ্ব জলবায়ু অনুসন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীদের গোষ্ঠী এই মর্মে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, চলতি বছরে তাপমাত্রা বৃদ্ধির পিছনে বিশ্ব উষ্ণায়ন দায়ী হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ গুন বেড়েছে।  

এপ্রিলেই চরম উষ্ণতার নজির দেখা গিয়েছে কেবল ভারত নয়, বাংলাদেশ, লাওাস, থাইল্যান্ডেও। বিজ্ঞানীদের গোষ্ঠী ‘ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন’-র রিপোর্ট বলছে, তাপপ্রবাহের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই ভৌগলিক অঞ্চল। অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক এই অঞ্চলে বেশি। সবচেয়ে আক্রান্ত হচ্ছে তাঁরা। 

থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানির মতো একাধিক দেশের বিজ্ঞানীরা যৌথ গবেষণায় জানাচ্ছেন, গ্রিনহাউস গ্যাস বাতাসে মিশছে মানুষের অতি সক্রিয়তার কারণে। উষ্ণায়নের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্রা। 

বিজ্ঞানীরা বলছেন, কাচের দেওয়ালে ঘেরা ঘরে তাপ বেরনোর উপায় না থাকলে যা হয় পৃথিবীরও অনেকটা তেমনই হচ্ছে। গ্রিনহাউস গ্যাস তাপ বেরনোর পথ আটকে দিচ্ছে। পূর্বাঞ্চলে ১৮ এপ্রিল একাধিক রাজ্যে ৪৪ ডিগ্রি পার করেছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ঢাকায় কয়েক দশকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখা গিয়েছে। থাইল্যান্ড, লাওসে নতুন নজির তৈরি করেছে তাপপ্রবাহ। 

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি শিল্পবিপ্লবের আগের তুলনায় বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রিতে বেঁধে রাখার লক্ষ্য জানিয়েছিল। লক্ষ্য অনুযায়ী যদিও চলা যাচ্ছে না। ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের বিজ্ঞানীরা আগেই জানিয়েছিলেন তাপপ্রবাহের সংখ্যা বাড়বে। বাড়বে তীব্রতাও। গত বছর উষ্ণতম হয়েছে এপ্রিল। এ বছরের মার্চ উষ্ণতম। জনস্বাস্থ্য এবং অর্থনীতিতেও গভীর প্রভাব পড়ছে। 

আর্থিক সঙ্কটের কারণে তাপপ্রবাহের মধ্যেও বিপুল অংশকে কাজে যুক্ত থাকতে হচ্ছে। ভারতের মতো দেশে প্রায় ৯০ শতাংশ শ্রমজীবী অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত। তাঁদের বেশিরভাগকে তাপপ্রবাহের মধ্যেই খোলা পরিবেশে কাজ করতে হচ্ছে। জনস্বাস্থ্যে তার প্রভাব পড়ছে।  

Comments :0

Login to leave a comment