রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বার্তালাপের বিষয়ে জানানো হয়েছে। রাশিয়ায় ভাড়াটে সেনার সশস্ত্র অভ্যুত্থান নিয়েও দু’জনের কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
৪ জুলাই শুরু হচ্ছে বহুপাক্ষিক মঞ্চ সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠক। অনলাইনে পুতিন এবং মোদীর পাশাপাশি এই বৈঠকে যোগ দেবেন চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিঙও।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানাচ্ছে যে ইউক্রেন সংঘাত মেটাতে কূটনৈতিক আলোচনার ওপর জোট দিয়েছেন মোদী। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিশদে মোদীকে জানিয়েছেন পুতিন।
গত কয়েকদিন পুতিন প্রশাসনকে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে বেসরকারি সেনা সংস্থা ওয়াগনারের সশস্ত্র অভ্যুত্থান মেটাতে। ইউক্রেন সীমান্ত ঘেঁষা শহর রস্তভে সামরিক কেন্দ্রের দখলও নেয় এই বাহিনী। মস্কো দখলে রওনা হয় ভাড়াটে সেনার বাহিনী। বাহিনীর প্রধান ইয়েভজিনি প্রিগোঝিনের সঙ্গে মধ্যস্থতা করেন বেলারুশের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। প্রিগোঝিন বেলারুশে আশ্রয় নেবেন রাশিয়া ছেড়ে, এই শর্তে প্রাথমিক সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার রেশ রয়েছে রাশিয়ায়।
ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে পারস্পরিক নির্ভরতা বেড়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনার কারণেও। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপের একাধিক দেশ। রাশিয়া এই সময়ে জ্বালানি সবচেয়ে বেশি বিক্রি করেছে ভারত এবং চীনকে। ভারতের চিরাচরিত উৎস পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিকে ছাপিয়ে গিয়েছে রাশিয়ার থেকে করা আমদানি। ভারতে পরিশোধন করে এই তেলই আবার পাঠানো হয়েছে আমেরিকা এবং ইউরোপে।
রাশিয়ার ওপর পশ্চিমী দেশগুলির অবরোধে আপত্তি জানিয়েছে চীনও। তবে জিনপিঙও আঞ্চলিক স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রেখে আলোচনার পথ খোলা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন পুতিনকে।
Comments :0