সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা একাধিক আবেদনের ওপর আগামী ১১ ডিসেম্বর রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল, সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি সূর্যকান্তের সমন্বয়ে গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চ ২০১৯ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশের সাংবিধানিকতা নির্ধারণ করবে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ প্রবীণ বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ উভয় পক্ষের মৌখিক যুক্তিতর্ক শোনার পর রায় সংরক্ষিত রাখে।
শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমানি, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা, সিনিয়র অ্যাডভোকেট হরিশ সালভে, রাকেশ দ্বিবেদী, ভি গিরি এবং অন্যান্যদের পক্ষে শুনানি করেছিল। কপিল সিব্বল, গোপাল সুব্রহ্মণ্যম, রাজীব ধাওয়ান, জাফর শাহ, দুষ্মন্ত দাভে সহ সিনিয়র আইনজীবীরা আবেদনকারীদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেছিলেন।
আইনজীবীরা ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কেন্দ্রের এই ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তের সাংবিধানিক বৈধতা, জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনের বৈধতা, ২০১৮ সালের ২০ জুন জম্মু ও কাশ্মীরে রাজ্যপালের শাসন জারি এবং ১৯ ডিসেম্বর তৎকালীন রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, ২০১৯ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বেশ কয়েকটি পিটিশন ২০১৯ সালে সাংবিধানিক বেঞ্চে প্রেরণ করা হয়েছিল, যা তদানীন্তন রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করেছিল - জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ।
Comments :0