SIKKIM MANGAN TOURISTS

বিপর্যস্ত মঙ্গনেই আটকে ৩ হাজার পর্যটক

জাতীয়

বিপর্যস্ত ম্‌ঘন। রাস্তায় শনিবারও জমে কাদা।

তিন দিন কেটে যাওয়ার পর বিশেষ দল পাঠানোর ঘোষণা করল কেন্দ্র। রবিবার সিকিমে পৌঁছাবে এই দল। হড়পা বানে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব বিশদে করার জন্য কেন্দ্র এই দলকে পাঠাচ্ছে। 

সিকিমের মঙ্গন জেলার লাচেন এবং লাচুঙে শনিবারও আটকে রয়েছেন প্রায় ৩ হাজার পর্যটক। সেনা এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী হেলিকপ্টারে উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। খারাপ আবহাওয়ার জন্য ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারের কাজ। মঙ্গনে শনিবারও যান চলাচলের অবস্থা নেই প্রায় সব জায়গায়। কাদামাটিতে ভরে রয়েছে রাস্তা। বুলডোজার দিয়ে কাদা সরানোর চেষ্টা চলছে।

শনিবার গ্যাঙটকে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্র। তিন দিনে সিকিমে মিলেছে অন্তত ৫৩ জনের দেহ। নিখোঁজ ১৪০ জন। সরকারি হিসেবেই জানানো হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন হড়পা বানে। পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে তিস্তার পাড়ে মিলছে একের পর এক দেহ। শনিবার পর্যন্ত এই জেলাতেই ভেসে আসা ২৯ দেহ মিলেছে বলে হিসেব। 

মিশ্র শনিবার বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ভিবি পাঠকের সঙ্গে। সেনা এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন তিনি।

নিখোঁজ এবং নিহতদের তালিকায় রয়েছে সেনা জওয়ানদের নাম। দুঃখপ্রকাশ করে এদিন বিবৃতি দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। অজয় মিশ্র বলেছেন, প্রয়োজনী সহায়তা সিকিম সরকারকে দেওয়া হবে। 

রবিবার কেন্দ্র যে দল পাটাচ্ছে তাতে রাখা হয়েছে কৃষি, সড়ক ও জাতীয় সড়ক, জলসম্পদ, বিদ্যুৎ এবং অর্থ মন্ত্রকের আধিকারিকদের। ক্ষয়ক্ষতির অঙ্ক হিসেব করবে এই দল। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে কেন্দ্রের অংশ ৪৪.৮ কোটি টাকা খরচের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। 

গত বুধবার মেঘভাঙা বৃষ্টির পরই ভেসে যায় ১৭ হাজার ১০০ ফুট উঁচুতে লোনাক হ্রদ। জল ছাপিয়ে পড়ে তিস্তায়। দ্রুত জলস্তর বেড়ে যায় তিস্তার। দু’পার ভাসিয়ে একের পর এক জনবসতি তছনছ করে এগোয় নদী। ভেঙে যায় এনটিপিসি’র জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তৈরি বাঁধ। সিকিম সরকার জানিয়েছে অন্তত ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ভেঙেছে জলের তোড়ে। ২৫ হাজার মানুষ বিপন্ন উত্তর পূর্বের ছোট্ট এই রাজ্যে। ঘর ভেঙেছে, প্রাথমিক হিসেবেই, ১২০০। 

হিমবাহে পুষ্ট হ্রদে এমন বৃষ্টি হলে বিপর্যয়ের আশঙ্কা ছিল। আগাম ব্যবস্থা কেন নেওয়া হয়নি। বস্তুত কেবল সিকিম নয়, হিমালয়ের কোলে থাকা একাধিক রাজ্যে কম সমসয়ের মধ্যে হচ্ছে এমনই বিপর্যয়। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে দ্রুত হিমবাহ গলে যাওয়াকেও দায়ী করেছেন পরিবেশবিদদের একাংশ। 

পর্যটকদের নতুন করে রাজ্যে প্রবেশ বন্ধ করেছে সিকিম প্রশাসন।

Comments :0

Login to leave a comment