BJP

গোষ্ঠীসংঘর্ষ, দলবদলে আছে বিজেপি

রাজ্য

নিজেদের মধ্যে মারামারি কিংবা সদলবলে তৃণমূলে যোগদান, বিজেপি এই নিয়ে ব্যস্ত।
বর্ধমানে রবিবার বিজেপি কর্মীদের মারামারি থামাতে পুলিশকে আসতে হয়েছে। সেদিন শুভেন্দু অধিকারী  বিজেপি’র জেলা অফিসে এসেছিলেন ঘরছাড়াদের সঙ্গে দেখা করতে। ঘোড়দৌড়চটি এলাকায় বিজেপি’র জেলা অফিসে প্রায় ৬০ জনের মতো ঘরছাড়া আছেন।  শুভেন্দু অধিকারী চলে যাওয়ার পর দলের তরফ থেকে দেওয়া  টাকার ভাগ নিয়ে কোন্দল শুরু হয়। দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের মধ্যে মারামারি হয়। পুলিশ ক্যাম্প থেকে পুলিশ ছুটে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশ দু’পক্ষকেই  বিচ্ছিন্ন করে বিবাদ আয়ত্তে আনে। বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, খোকন সেন ও রতন নামে বিজেপি’র দুই স্থানীয় নেতার মধ্যে বিবাদ থেকে মারধর শুরু হয়। কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে বিজেপি’র পক্ষ থেকে এই ঘটনার জন্য পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। ধামাচাপা দেবার চেষ্টা হয়েছে। বর্ধমানের বিজেপি’র এক নেতা সোমবার জানিয়েছেন,‘‘আমাদের গ্রামাঞ্চলের নেতা, কর্মীদের একাংশ তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। আরও অনেকে পা বাড়িয়ে আছে। দলের নেতাদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব তীব্র, তখন কর্মীরা তো আশ্রয় খুঁজবেই।’’ 
কোচবিহারের অনেক বিজেপি কর্মী, নির্বাচিত প্রতিনিধি সে পথে এগিয়েছেন ইতিমধ্যেই। তাই ক্ষমতার ফুল বদল হয়ে যাচ্ছে পঞ্চায়েতগুলিতে। ১২৮টি পঞ্চায়েতের মধ্যে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির দখলে এসেছিল ২৪টি পঞ্চায়েত। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর বিজেপির হাত থেকে ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন ৬১৬জন, ইতিমধ্যেই ২১০জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে কোচবিহারের কংগ্রেস নেতা গোপাল দাস নিজের পঞ্চায়েত এলাকার উদাহরণ দিয়েছেন। কোচবিহার শহর সংলগ্ন গুড়িয়াহাটি ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের উদাহরণ টেনে এই মুহূর্তে সাধারণ মানুষেরা বলতে শুরু করেছেন, ১৯৭৭এর রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতার আসার পর শুধুমাত্র ১৯৭৮সালের প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় বামফ্রন্ট।  কিন্তু এরপর  রাজ্যে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়েও প্রতিটি পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যাগরিষ্ঠ পেয়েছে কংগ্রেস। দীর্ঘ বছর এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন কংগ্রেস নেতা গোপাল দাস। এই গোটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন হয়েছে রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার থাকাকালীন সময়েই। কিন্তু কখনও উন্নয়নের অজুহাত দেখিয়ে তাকে সিপিআই(এম) বা বামফ্রন্টের অন্যান্য দলে যোগদান করতে হয়নি। 

Comments :0

Login to leave a comment