TMC Brigade

তৃণমূলের সভায় যোগ দিতে এসে ভীড় চিড়িয়াখানায়

রাজ্য

তৃণমূলের ২১-শে জুলাই, আলিপুর চিড়িয়াখানা। ছবি- শ্যামল মজুমদার।

রবিবার দুপুরে ধর্মতলায় কতটা ভীর সেই প্রশ্নতো থাকবেই, তবে এদিন সকাল থেকেই চিড়িয়াখানায় নামল মানুষের ঢল।  এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের বাৎসরিক সমাবেশে অংশ নিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিড় জমিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। আর সুযোগ কাজে লাগিয়ে সকাল থেকেই বহু মানুষ গোটা কলকাতা ভ্রমণ করে নিচ্ছেন।


আলিপুর চিড়িয়াখানা পা রাখার জায়গা নেই। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালেও বহু মানুষের সমাগম হয়েছে। সকাল থেকে যাদুঘর মুখি হয়েছেন তৃণমূলের সমাবেশে অংশ নিতে আসা মানুষের একাশং। বেলা বাড়তেই চিড়িয়াখানায় হাজার হাজার মানুষের ভীড় এদিন লক্ষ্য করা গিয়েছে। 


গাড়ির দীর্ঘ সারি রাস্তায়, তারই মাঝে চলছে রান্না, খাওয়াদাওয়া। ছবি বিধান ভট্টাচার্য।

সরকার, পুলিশ প্রশাসনের মিলিত শক্তিতে তৃণমূল কংগ্রেসের বাৎসরিক সমাবেশ। তৃণমূলের প্রকাশ্য সভার প্রচারের দায়িত্ব তিন দিন আগে থেকেই তুলে নিয়েছিল বাংলার সংবাদমাধ্যম। এই বার্ষিক দলীয় সভার চব্বিশ ঘণ্টা আগে থেকেই জেলায় জেলায় বাস, ট্রেকার, অটো কার্যত তুলে নেওয়া হয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পরিবহণ ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়ে। জেলায় জেলায় একাধিক রুটে বাস তুলে নেওয়ার অভিযোগ। সরকারি আতিথেয়তায় মিলন মেলার মাঠ, নেতাজী ইন্ডোরসহ একাধিক জায়গায় তিনদিন ধরে চলে থাকা খাওয়া। এদিন সকাল থেকে বৃষ্টি হয়েছে। গণপরিবহণ স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার সকাল থেকে গোটা শহরের যান চলাচল, পরিবহণ ব্যবস্থা কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। যাত্রীরা সকাল থেকে নাকাল হয়। রাস্তায় দেখা নেই কোনও সরকারি, বেসরকারি বাস। সকাল থেকেই শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা তৃণমূল কর্মীদের দখলে যায়। শহরের রাস্তা থেকে ব্রিগেডের মাঠ, প্রকাশ্যেই গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে চলল রান্নাবান্না। গাড়ির দীর্ঘ সারি রাস্তায়, তারই মাঝে চলছে রান্না, খাওয়াদাওয়া। রাস্তটা পুরো জ্যামে জ্যাম। কার্যত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ বলে কিছু ছিল না এদিন শহরে। গোটা কলকাতা এদিন সকাল থেকেই অবরুদ্ধ হয়ে যায়। ভেঙে পড়ে ট্রাফিক ব্যবস্থা। কয়েক হাজার পুলিশকর্মী স্রেফ মিটিংয়ে আসা মিছিলকেই পাহারা দিয়ে গেলেন।
পুরুলিয়া থেকে সভায় যোগ দিতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক জানালেন, ‘‘তৃণমূল নেতাদের বক্তৃতা শোনার জন্য এখানে আমাদের নিয়ে আসা হয়েছে। এলাকার তৃণমূল নেতাদের হুশিয়ারি সমাবেশে যোগ দিতে হবে। না হলে দোকান খোলা মুশকিল হবে পড়বে। যাই হোক এসেই যখন পড়েছি তাহলে চিড়িয়াখানাটা একবার ঘুড়ে যাই। তারপর ভিক্টোরিয়া যাব।’’

Comments :0

Login to leave a comment