CPI(M) SEBI ADANI

আদানির শেয়ারে লেনদেনের তথ্য
সেবি’র কাছে নেই
কেন? প্রশ্ন সিপিআই(এম)’র

জাতীয়

CPIM SEBI ADANI

আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে বিনিয়োগের তথ্য কেন নেই নিয়ামক প্রতিষ্ঠানের হাতে? বিপুল দুর্নীতি আড়াল করা হচ্ছে কার স্বার্থে? তথ্যের অধিকার আইনে দায়ের আবেদনে ‘সেবি’-র জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রশ্ন তুলেছে সিপিআই(এম)। 

ভারতে লগ্নির বাজারের নিয়ামক প্রতিষ্ঠান ‘সেবি’ জানিয়েছে আদানি গোষ্ঠীতে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ কাদের, সেই তথ্য নেই। গত ফেব্রুয়ারিতে আদানি গোষ্ঠী ‘ফলো অন ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং’ ছেড়েছিল বাজারে। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশের পর আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন শেয়ারের দাম হু-হু করে পড়তে থাকে। আদানি গোষ্ঠীকে এই নতুন লগ্নির শেয়ার বাতিল করতে হয়। সেই সঙ্গেই বেরিয়ে পড়ে এই গোষ্ঠীর বেনিয়ম চাপা দিতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তৎপরতা। 

তথ্যের অধিকার আইনে কেন্দ্রের মুখ্য তথ্য আধিকারিকের কাছে জানতে চাওয়া হয় ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের তথ্য। কেন্দ্রীয় আধিকারিক কোনও তথ্য দেননি। কেবল এই কেন্দ্রের এই বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে যে ‘সেবি’-র কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য নেই। 

আদানির শেয়ার কেলেঙ্কারি নিয়ে বিরোধীরা সংসদে যৌথ সংসদীয় কমিটির দাবিতে সরব। সরকারের তরফে কোনও বক্তব্য হাজির করা হয়নি। বিরোধীরা বলেছেন, বিষয়টি আদানির নয়। দেশের মানুষের। কারণ রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা এলআইসি এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা স্টেট ব্যাঙ্কের বড় অঙ্কের টাকা রাখা হয়েছে আদানির শেয়ারে। যেগুলির দাম পড়ে গিয়েছে। 

হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে হিসেব ফুলিয়ে দেখিয়ে শেয়ারের দাম ভাঁড়িয়েছে এই সংস্থা। ৮০ শতাংশ পড়তে পারে এই গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের দাম। সেই রিপোর্ট প্রকাশের পর বাস্তবে এমন বিপুল মাত্রায় কমেছে শেয়ারের দাম। ফলে এলআইসি’র সম্পদ মূল্যও কমেছে। বিরোধীরা সংসদেও প্রশ্ন তুলেছেন যে আদানি ফেব্রুয়ারিতে যে শেয়ার ছেড়েছিল সেখানে ২০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ কাদের, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ভারতের কালো টাকা মরিশাসের মতো অর্থনীতি থেকে ঘুরিয়ে ফের বিনিয়োগ নিয়ে অভিযোগের তদন্তও দাবি করেছেন বিরোধীরা। 

তথ্যের অধিকার আইনে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে আদানির ফেব্রুয়ারির নতুন মূলধন সংগ্রহ প্রকল্পে বিনিয়োগকারী কারা। প্রত্যেকে কত টাকা বিনিয়োগ করেছিল, তাও জানতে চাওয়া হয়। শেয়ারের সংখ্যা এবং দাম অনুযায়ী ‘পূর্ণ বিনিয়োগ’ হওয়ার পর তা বাতিল করার কারণই বা কী, রয়েছে সেই প্রশ্নও। 

শনিবার সোশাল মিডিয়ায় সিপিআই(এম) এ সংক্রান্ত সংবাদ পোস্ট করে বলেছে, ‘‘প্রতিদিন স্পষ্ট হচ্ছে যে আদানি গোষ্ঠীর লেনদেনে গুরুতর অস্বচ্ছতা রয়েছে। কিন্তু সরকারের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হলো না কেন? নিয়ামখ প্রতিষ্ঠান ‘সেবি’-র কাছেই বা তথ্য নেই কেন? কে আড়াল করছে? এই সব প্রশ্নের জবাব জরুরি।’’  

Comments :0

Login to leave a comment