Parliament Special Session

আচমকা সংসদের ‘বিশেষ অধিবেশন’ ডাকল কেন্দ্র

জাতীয়

Centre Convenes Special Session of Parliament

আচমকা সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকল কেন্দ্র। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হবে এই বিশেষ অধিবেশন। কিন্তু এই অধিবেশনের ‘বিশেষ’ উদ্দেশ্য কী, জানাননি মন্ত্রী। 

যোশীর বার্তায় লেখা রয়েছে, ‘‘অমৃত কালের মধ্যে কার্যকর আলোচনা এবং বিতর্কের আশা করা হচ্ছে সংসদে।’’ 

স্বাধীনতার ৭৫ বছর থেকে ‘অমৃত কাল’ পালনের স্লোগান আগেই দিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি জোট সরকার। বিজেপি’র প্রচারেও এই স্লোগান নতুন নয়। বরং, সংসদে চর্চা না করতে দেওয়ার ধারাবাহিকতা তুলে ধরে ‘অমৃত কাল’ স্লোগান তুলে গণতন্ত্রের সর্বনাশ করার অভিযোগে সরব বিজেপি বিরোধী দলগুলি। সেক্ষেত্রে কোনও বিষয়ে বিতর্ক এবং ‘কার্যকর আলোচনা’ আশা করা হচ্ছে তা অস্পষ্ট। 

সংসদের বাদল অধিবেশন শেষ হয়েছে সদ্যই। মণিপুর নিয়ে বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির ভিত্তিতে বিশদ আলোচনার দাবি তুলেছিলেন। সরকার রাজি হয়নি কোনোমতেই। যে কারণে অচলাবস্থা তৈরি হয়। কেবল প্রধানমন্ত্রীকে মুখ খোলাতে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিরোধীরা। সেই চর্চাকে কেন্দ্র করেও বিরোধী নেতাদের সাপেন্ড করা হয়েছে সংসদে। এর আগে আদানি গোষ্ঠীর বেনিয়ম নিয়ে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের ভিত্তিতেও বিশদ আলোচনার দাবিতে সরব ছিলেন বিরোধীরা। বস্তুত সরকারই অধিবেশন বানচাল করতে ভূমিকা নেয়। 

একাংশের অনুমান, সংসদের অধিবেশন পুরনো ভবন থেকে নতুন ভবনে স্থানান্ততর করা হতে পারে এই অধিবেশনে। অধিবেশনের শুরু হবে পুরনো ভবনেই। শেষ পর্বে সভা বসবে নতুন ভবনে। তবে সরকারি সূত্র থেকে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। 

কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমে খবর নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টায় এই সিদ্ধান্ত। বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’-র বৈঠক ঘিরে যে আগ্রহ দেখা দিয়েছে তাকে চাপার চেষ্টা।’’

বৃহস্পতিবারই মুম্বাইয়ে শুরু হয়েছে দু’দিনের ‘ইন্ডিয়া’ বৈঠক। এদিন বৈঠকের মাঝে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। আদানির শেয়ারে টাকা ঢোকানোর অনিয়ম নিয়ে প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনের উল্লেখ করেন তিনি। দিল্লিতে জি-২০ বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী তদন্তের নির্দেশ দিন, দাবি তুলেছেন রাহুল।’’ 

আন্তর্জাতিক স্তরে পরিচিত দুই সংবাদ প্রতিষ্ঠান ‘গার্ডিয়ান’ এবং ‘ফিনান্সিয়াল টাইমস’ একটি তদন্তের উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করেছে। বলা হয়েছে, ভারতের নিয়ম ভেঙে আদানি গোষ্ঠীতে সংস্থারই একজন শেয়ার কিনেছেন বিপুল মাত্রায়। ভারতের টাকা মরিশাস হয়ে ঘুরে ফের ভারতে এসেছে। এই প্রতিবেদন নিয়ে আদানি গোষ্ঠী প্রতিক্রিয়া দিতে বাধ্য হয়েছে সম্প্রতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই গৌতম আদানির গোষ্ঠী দাবি করেছে আন্তর্জাতিক লগ্নি তহবিল সংস্থার প্রধান জর্জ সোরোস টাকা খঅটিয়ে এমন তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করেছেন। প্রশ্ন উঠছে, দেশের সরকার কেন বারবার বড় মাপের অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছে না। 

অধিবেশনে এই চর্চার প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল।   

Comments :0

Login to leave a comment