COWIN BREACH

আধারের তথ্য ফাঁসে তদন্তের দাবি জোরালো, মন্ত্রীর ব্যাখ্যায় বাড়ল সংশয়

জাতীয়

COWIN BREACH

ব্যাখ্যা দিতে গিয়েছিলেন মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। কিন্তু তথ্য ফাঁস নিয়ে তাঁর ব্যাখ্যায় অস্বস্তি আরও বাড়ল কেন্দ্রের। 

আধার কার্ড থাকা ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের খবর প্রকাশ করে একটি দৈনিক। এর আগে ২০২১ সালেও ব্যক্তিগত তথ্য ভাণ্ডারে বাইরের লোকের আনাগোনার খবর বেরিয়েছিল। 

সোমবার প্রথমে এই খবর অস্বীকার করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। স্বাস্থ্য মন্ত্রকই কোভিডের টিকাকরণের জন্য কোউইন ওয়েবসাইটের দায়িত্বে। আধারের তথ্য ফাঁস হলে জালিয়াতরা কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা অন্য তথ্য হাসিল করতে পারে। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কোউইন তথ্য ভান্ডার ফাঁসের রিপোর্ট  ভিত্তিহীন। এর পিছনে খারাপ মতলব রয়েছে।’’ যোগ করা হয়, ‘‘তবে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে সাইবার সুরক্ষা বিষয়ক সংস্থা সিইআরটি’কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, ‘‘কোউইন পোর্টাল নিরাপদ। ওটিপি না মিললে তথ্য পাওয়া সম্ভব নয়।’’ 

সোমবারই বিষয়টি গভীরে দেখার দাবি জানায় সিপিআই(এম)। পার্টি পলিট ব্যুরো বিবৃতিতে বলে, ‘‘২০২১ সালেও তথ্য ফাঁসের অভিযোগ অস্বীকার করেছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কিন্তু তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। আজ পর্যন্ত জানানো হলো না সেই তদন্তের ফলাফল কী।’’ পলিট ব্যুরো বলে, ‘‘ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ খতিয়ে দেখে বের করতে হবে দায়ী কারা। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তথ্য ফাঁস রোধের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।’’ 

তথ্য ফাঁসের দুশ্চিন্তা কাটাতে টুইট করেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। তিনি লেখেন, ‘‘একটি টেলিগ্রাম বটে ফোন নম্বর দিলে তথ্য দেওয়া হচ্ছে। মনে হচ্ছে না সরাসরি তথ্য ভাণ্ডারের সুরক্ষা ভেঙেছে। কোনও সাইবার জালিয়াত এর আগে কোউইন তথ্য ভান্ডার থেকে তথ্য চুরি করে থাকতে পারে। সেই তথ্যগুলি দেওয়া হচ্ছে এখন।’’ 

মন্ত্রী বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তথ্যভান্ডার থেকে সরাসরি চুরি হয়নি বলতে কী বোঝাচ্ছেন চন্দ্রশেখর। তা’হলে পরোক্ষে হয়েছে? মন্ত্রী কেনই বা আগেরবার চুরি যাওয়া তথ্যের উল্লেখ করলেন। কেন্দ্র কখনই স্বীকার করেনি যে আগেরবার কোউইনের তথ্য ফাঁস হয়েছে। বিভিন্ন মহলে সংশয় ছড়ানোয় ফের চন্দ্রশেখরের ব্যাখ্যা, ‘‘আগেরবার ফাঁসের কথায় কোউইনের কথা বলা হয়নি। কোউইন বাদে অন্য কোথা থেকে চুরি যাওয়া তথ্যের কথা বলতে চাওয়া হয়েছে।’’

কিন্তু বারবার সুরক্ষা ভাঙা এবং ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস ঘিরে কেন্দ্রের ব্যাখ্যায় বহু মহলই অসন্তুষ্ট। দেশে সাইবার সুরক্ষা ভাঙার ঘটনা আকছার ঘটছে। জালিয়াতির শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ। তথ্য বিকৃতি করা হলে আধার ভিত্তিক কাঠামোয় পরিচয় প্রমাণ করাও সমস্যার হতে পারে। গভীর তদন্তের দাবি জোরালো হচ্ছে।      

Comments :0

Login to leave a comment