ED in excess

বিজেপি’র নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে নীরব কেন ইডি? প্রশ্ন চিদম্বরমের

জাতীয়

অর্থ পাচার রোধ আইন বা পিএমএলএ’র অপব্যবহার নিয়ে রিভিউ পিটিশন গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানি শুরু করার পক্ষে সরব হলেন কপিল সিবাল এবং পি চিদাম্বরম। রাজনীতিতে এবং সংসদে ভূমিকা নেওয়ার পাশাপাশি দু’জনেই বরিষ্ঠ আইনজীবীও। 

গত ৩১ জানুয়ারি দুই আইনজীবীর কথোপকথনের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। দুই আইনজীবীই কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পিএমএলএ’র বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করে থাকে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অধীন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। বস্তুত বিরোধী সব অংশই কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগে সরব। 


কপিল সিবাল পরামর্শ, সুপ্রিম কোর্ট অন্তত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে জিজ্ঞাসা করতে পারে যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি বিধায়কদের বাদ দিয়ে কেন তারা বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধেই বেছে বেছে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিজেপি সাংসদ এবং বিধায়কদের বিরুদ্ধে রাজ্যগুলিতে বিচারাধীন ফৌজদারি মামলার উল্লেখ রয়েছে।  এঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি বা গ্রেপ্তার করা হয়নি কেন প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এদিকে, চিদম্বরম বিস্ময় প্রকাশ করেছেন যে রাজ্যগুলি নিজেরাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে পালটা ‘প্রতিশোধ’ নিলে পরিস্থিতি আরও বেশি বিপর্যয়কর হয়ে উঠবে। ‘‘প্রত্যেকেরই নিজ রাজ্যে সম্পত্তি এবং পরিবারের সদস্য রয়েছে। রাজ্যগুলির পক্ষে বিজেপি মন্ত্রীদের নিজ নিজ বা তাদের পরিবারের সদস্যদের দ্বারা আইন লঙ্ঘন খুঁজে বের করা সহজ হবে,’’ তিনি বলেন।
বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে, যেখানে ইডি তদন্ত শুরু করেছিল – কিন্তু  বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে তা বন্ধ হয়ে যায় বলে অভিযোগ। তাঁদের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন এবং তাঁদের নাম জানা গিয়েছে।
দু’জনেই মনে করেন, অপরাধমূলক কার্যকলাপে অভিযুক্ত সমস্ত মন্ত্রী ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে প্রমাণের প্রতি প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করাই সঠিক কাজ।

এরপর অভিযুক্তকে পদত্যাগ করে আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। চিদম্বরম বলেন, বিচারপতিদের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয় এবং মন্ত্রী ও অন্যান্য বিধায়কদের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ না করার কোনও কারণ নেই।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদদের বিরুদ্ধে অ-বিজেপি রাজ্যগুলির পুলিশ তদন্ত শুরু করলে সংবিধান সম্পূর্ণ ভেঙে পড়বে, তিনি আশা প্রকাশ করেন যে সাধারণ নির্বাচনের পরে পর্যন্ত বা বৃহত্তর বেঞ্চ রিভিউ পিটিশন শুনে রায় না দেওয়া পর্যন্ত পিএমএলএ-র কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত হস্তক্ষেপ করবে।

Comments :0

Login to leave a comment