‘ব্রিকস্’ শীর্ষ বৈঠকে সরাসরি অংশ না নিলেও ভিডিও বার্তা দেবেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিঙ, ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুলা ডা সিলভা, দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি সিরিল রামফোসা।
শীর্ষ বৈঠকে আলোচনায় গুরুত্ব পাবে গোষ্ঠীর সম্প্রসারণ। নতুন সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেছে ইরান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার এই বহুপাক্ষিক গোষ্ঠীর বৈঠকে রাষ্ট্রপ্রধানরা মুখোমুখি হচ্ছেন তিন বছর পর। কোভিড-১৯ মহামারীর পর থেকে সামনা সামনি শীর্ষ বৈঠক হয়নি।
অংশ নিতে পারেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। কৃষি থেকে খনি, জ্বালানি থেকে শিক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন- সবই আছে আলোচনার তালিকায়। প্রাধান্য পাচ্ছে এই মনোভাব যে রাষ্ট্রসঙ্ঘ, আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার বা আইএমএফ এবং বিশ্ব ব্যাঙ্ক সবই পশ্চিমী দুনিয়ার দেশগুলির পক্ষে ঢলে থাকা। ফলে এই দেশগুলির নিজেদের সমন্বয় বাড়ানো জরুরি।
পুতিনের যোগদানে সমস্যা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রায়। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে এক রায়ে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে এই আদালত। দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক আদালতের সদ্য দেশ। পুতিন দেশের মাটিতে পা রাখলে তাঁকে গ্রেপ্তার না করে উপায় নেই। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশেষ নির্দেশিকা জারি করে রাশিয়ার কূটনীতিবিদদের গ্রেপ্তারিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভৃর সঙ্গে কূটননৈতিক প্রতিনিধিদল এখন জোহানেসবার্গেই।
‘ব্রিকস’ দেশগুলিতে রয়েছে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ বাসিন্দা। মোট উৎপাদনের ৩০ শতাংশ এই দেশগুলিতেই। গোষ্ঠীতে নতুন দেশ যুক্ত হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে মাপকাঠি কী হবে তা ঠিক করতে হবে সদস্য দেশগুলিকে।
২০০৯-এ প্রথমে চার দেশের গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল, পরের বছর যুক্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী জোহানেসবার্গে অংশ নিচ্ছেন পাঁচ দেশের প্রায় ১২০০ প্রতিনিধি।
Comments :0