জানা অজানা
তাসের জনক গুটেনবার্গ
তপন কুমার বৈরাগ্য
নতুনপাতা
তোমরা নিশ্চয় জোহানেস গুটেনবার্গের নাম শুনেছো।
যিনি ১৩৯৮খ্রিস্টাব্দে জার্মানির মাইনৎস শহরে
জন্মগ্রহণ করেন।যিনি ১৪৩০ খ্রিস্টাব্দে জার্মানির স্ট্রাসবাগে
প্রথম ছাপাখানা তৈরি করেন। ১৪৫৫ খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীর
প্রথম ছাপা বই "ম্যাজারিন বাইবেল"তাঁর ছাপাখানা
থেকেই তিনি নিজের হাতেই ছাপিয়েছিলেন।
কিন্তু তাঁর আর একটা পরিচয় ছিল আমাদের যে বাহান্নটা
আলাদা আলাদা তাস আছে,যাদের কারো নাম হরতন,
রুহিতন,চিরিতন,ইসকাবন ।এই তাসের জনক কিন্তু গুটেনবার্গ।
গুটেনবার্গ ছিলেন বলেই আজ তাসখেলার প্রতি এতো
আকর্ষণ,এতো গর্ববোধ ।তখনো তিনি ছাপাখানা আবিষ্কার
করেন নি। একদিন তাঁর মাথায় চিন্তা এলো কিভাবে
তাস তৈরি করা যায়।যেমন চিন্তা তেমনি তাঁর কাজ শুরু।
তিনি চার রকম তাসের কথা চিন্তা করলেন।এগুলোর
নামকরণ করলেন চিরিতন,রুইতন,হরতন,ইসকাবন।
অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রতিটা তাসের জন্য আলাদা আলাদা
ব্লক তৈরি করলেন।তারপর নানারকম ছবি ও রঙ দিয়ে
তৈরি করে ফেললেন বাহান্নটা তাস। সবাইকে শেখালেন
তাসখেলার পদ্ধতি।সকলের খুব ভালো লাগল এই খেলা।
কিন্তু কোথায় তাস পাবে? গুটেনবার্গ নিজেই বান্ডিল
বান্ডিল তাস তৈরি করতে লাগলেন। সেগুলো বিক্রি করে
তাঁর বেশ কিছু আর্থিক সংগতি হলো। দেশবিদেশে তাসখেলার
প্রচলন হলো।গুটেনবার্গের তেরি তাস বিদেশে রপ্তানি হতে
লাগলো। গুটেনবার্গ তাঁর স্ত্রী এনাকে তাস খেলা শিখিয়েছিলেন।
এনা আবার মহিলাদের তাস খেলা শিখিয়েছিলেন।সারা
পৃথিবীর মহিলারাও তাসখেলা শিখে ফেললেন।
গুটেনবার্গের জন্যই চার রকম তাস নিয়ে আজ
কতরকমের খেলার সৃষ্টি হয়েছে। চলছে ট্রেনে, বাসে,
বাড়িতে,অফিসে, ক্লাবে, সময় কাটানোর খেলা,তন্ময়তার খেলা,
আনন্দের খেলা ,এই তাসখেলা।
অথচ আমরা ক'জন জানতাম এই গুটেনবার্গই ছিলেন
তাসের জনক।
Comments :0