COPD Lancet report

বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে সিওপিডি’র সমস্যা, রিপোর্ট ল্যানসেট’র

জাতীয়

ভারতে বাড়ছে ক্রনিক পালমোনারি ডিজিজ বা সিওপিডি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। যে হারে সিওপিডি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে ২০২০-৫০’র মধ্যে চীন ও আমেরিকার পর ভারত থাকবে তৃতীয় স্থানে। 
মঙ্গলবার এইরকমই একটি তথ্য প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃত বিজ্ঞান পত্রিকা ল্যানসেট। ২০১৯’এ সিওপিডিতে বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ৩৩ লক্ষ মানুষের। তার মধ্যে সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে চীনে, তারপর আমেরিকায়। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত।


২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত এই দশ বছরে প্রায় ১৪.১ শতাংশ হারে মৃত্যু বেড়েছে বিশ্বে। তার প্রধান কারণ অপরিকল্পিত নগরায়ন, বায়ু দূষণ এবং ব্যাপক তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার।
সাধারণ ভাষায় সিওপিডি বলতে বোঝায় শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা। ল্যানসেট বলছে, কিছু ক্ষেত্রে তা বংশানুক্রমিকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে বায়ু দূষণের জন্য সমানে বাড়ছে ফুসফুসে সংক্রামণ এবং সিওপিডি’র হার। বিজ্ঞানীদের আরেক অংশের দাবি শুধু বায়ু দূষণ বা তামাকজাত দ্রব্য সেবন করাই নয়, সঙ্গে নানা ধারণের সংক্রামক রোগের জন্যও বাড়ছে সিওপিডির সমস্যা।


ল্যানসেটের রিপোর্টে আরও প্রকাশ পেয়েছে যে সিওপিডি সমস্ত দেশেই খুব বেশি হারে ছড়িয়ে পড়ছে নিম্নবিত্তদের মধ্যে। এমনকি মৃত্যুর হারও নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির মধ্যে সর্বাধিক। প্রায় ৮৩ শতাংশ। ল্যানসেটের সমীক্ষা বলছে, সিওপিডির বাড়বাড়ন্তের প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতেও। ২০২০-৫০’র মধ্যে বিশ্বের প্রায় ২০৪টি দেশে অর্থনৈতিক বোঝা হয়ে দাড়াবে সিওপিডি। বিশ্বের অর্থনীতির নিরিখে যা প্রায় ৪.৩ লক্ষ কোটি ডলার। 
ল্যানসেটের দাবি, এত বিপুল খরচ ও প্রাণনাশের হাত থেকে বাঁচা সম্ভব রোগের সঠিক পর্যালোচনা ও সচেতনতার মাধ্যমে। সাধারণ মানুষকে এই সম্পর্কে সচেতন করার পাশাপাশি বায়ু দূষণ কমানো অবং অপরিকল্পিত নগরায়ন নিয়ন্ত্রণ করা।

Comments :0

Login to leave a comment