Madhyamik

বিজ্ঞানী হতে চায় দেবদত্তা, শুভম, রিফাত চিকিৎসক

রাজ্য

 

এবারের মাধ্যমিকে প্রথম হওয়া ছাত্রী দেবদত্তা মাজি বিজ্ঞানী, যুগ্ম হওয়া দ্বিতীয় শুভম পাল ও রিফাত হাসান সরকার ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এগোতে চায়। 
কাটোয়া দুর্গাদাসী চৌধুরানি গার্লস হাই স্কুলের দেবদত্তা মাজি সবাইকে টপকে এবার মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে। ৬৯৭ নম্বর পেয়েছে দেবদত্তা। বরাবরই ভালো ছাত্রী সে। প্রথম শ্রেণি থেকে ক্লাসে প্রথম হয়ে আসছে। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষাতেও রাজ্যের মধ্যে দেবদত্তা প্রথম হয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিল। তবে সবাইকে যে পিছনে ফেলে দেবে এতটা ভাবতে পারেনি সে। খুশি তাই উপচে পড়েছে দেবদত্তার চোখেমুখে। দেবদত্তার স্বপ্ন বিজ্ঞানী হওয়ার। সেই লক্ষ্যেই পড়াশুনা করতে চায় সে। তার ইচ্ছে পদার্থবিদ্যা ও অঙ্ক নিয়ে ভবিষ্যতে পড়াশোনা করা। কাটোয়া দুর্গাদাসী চৌধুরানী বালিকা বিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষিকা দেবদত্তার মা শেলি দাঁ। দেবদত্তার সাফল্যের পেছনে তার মায়ের অবদান ছাড়াও স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদেরও দিতে চায়। বাবা আসানসোলে কলেজে অধ্যাপনা করেন। পড়াশুনা নিয়েই কাটে দিনের বেশিরভাগ সময়। দেবদত্তার কথায়, “ভালো ফল হবে ভেবেছিলাম। কিন্তু তা যে এতটা, সেটা একদমই ভাবিনি।” বেহালা বাজানো তার সখ বলে জানিয়েছে মাধ্যমিকে ৭০০ নম্বরের মধ্যে ৬৯৭ পেয়ে প্রথম স্থানাধিকারী দেবদত্তা মাজি। 
মাধ্যমিকে এবার যুগ্মভাবে দ্বিতীয় হয়েছে বর্ধমানের শুভম পাল আর মালদহের রিফাত হাসান। দু’জনেরই আশা ছিল ভালো ফলের। তবে এতটা আশা করেনি তারাও। বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল স্কুলের ছাত্র শুভম পাল। শুভমের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। রিফাত হাসান সরকার মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ছাত্র। বর্ধমান শহরের বিবেকানন্দ কলেজ রোডের একটি বেসরকারি আবাসনের বাসিন্দা শুভমের পরিবার। পড়াশুনার পাশাপাশি গল্পের বই পড়তে আর গান শুনতে ভালোবাসে শুভম। তার কথায়, “খুব যে রুটিন করে পড়তাম এমনটা নয়। বরং যখন যখন ভালো লাগত তখনই পড়তাম। তবে টেক্সট বইটা খুব খুঁটিয়ে পড়তাম।”
শুভমের মা স্বপ্না ভাওয়াল রায়নার একটি স্কুলের বাংলার শিক্ষিকা। বাবা সমীর পাল বেসরকারি সংস্থার কর্মী। শুভম জানায়, বাংলাটা সে মায়ের কাছে পড়তো। বাকি সমস্ত বিষয়ের জন্য গৃহশিক্ষক ছিল। স্কুলের শিক্ষকরাও খুবই সাহায্য করেছে তাকে। যখনই কোনও বিষয়ে সাহায্যের দরকার হয়েছে, পাশে পেয়েছেন তাঁদের। ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায় শুভম। তাই এখন উচ্চ মাধ্যমিকের পাশাপাশি নিট পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তৈরি হতে চায় শুভম।
ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায় মাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থান পাওয়া আর এক ছাত্র রিফাত হাসান সরকারও। মালদার রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ছাত্র রিফাত। রিফাতের কথায়, পরীক্ষা দিয়ে বুঝতে পেরেছিল প্রথম দশে থাকবো। কিন্তু তা যে একেবারে প্রথমদিকে ততটা ভাবেনি। রিফাত জানায়, রুটিনমাফিক নয়, যখন যেমন মনে হতো তেমনভাবেই পড়াশুনা করতাম। এভাবেই এগিয়েছি। গৃহশিক্ষকদের পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষকদের সাহায্যও পেয়েছে রিফাত। এখন তার একটাই লক্ষ্য। নিট পাশ করে ডাক্তারি পড়া।
এবার মাধ্যমিকে তৃতীয় হয়েছে মোট ৬জন। এরা হলো অর্ক মণ্ডল, টাকি রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র। সৌম্যদীপ মল্লিক উত্তর ২৪পরগনার বেড়াচাঁপা দেউলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ৪জন ছাত্র এবারের মাধ্যমিকে তৃতীয় হয়েছে। এরা হলো ছাত্র মহম্মদ সরবর ইমতিয়াজ, মাহির হোসেন, স্বরাজ পাল ও অর্ঘ্যদীপ সাহা। এদের সকলের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০।  
 

Comments :0

Login to leave a comment