KOCHI BLAST SURRENDER

কেরালায় পরপর বিস্ফোরণে অভিযুক্তের আত্মসমর্পন

জাতীয়

কালামসারি বিস্ফোরণে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি আত্মসমর্পন করেছে। জানা গিয়েছে, বছর আটচল্লিশের এই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। রবিবার কেরালায় কোচির কাছে কালামসারিতে একটি প্রার্থনা সভায় পরপর বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় ১ মহিলা নিহত হয়েছেন। কেরালার পুলিশ জানিয়েছে আহত হয়েছেন ৪৫ জন।

কেরালায় কোচির কাছে এই প্রার্থনা সভায় পরপর একাধিক বিস্ফোরণ হয়েছে। কোচি শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে কালামসারিতে জিহোভা উইটনেস কনভেনশন ছিল। খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীদের একটি সম্প্রদায় জিহোভা। প্রায় ২ হাজার মানুষ যোগ দেন প্রার্থনা সভায়। তার মাঝেই উইটনেস সেন্টারে এই বিস্ফোরণ হয় রবিবার দুপুরে। 

 পুলিশ জানিয়েছে সন্দেহভাজন ডমিনিক মার্টিন নামে এক ব্যক্তি। রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর (আইন শৃঙ্খলা) অজিত কুমার জানিয়েছেন যে ডিমিনিক মার্টিন নামে এই ব্যক্তি ত্রিশূরের কাড়াকারা থানায় বাইক নিয়ে পৌঁছায়। ঘটনার দায় স্বীকার করে এই ব্যক্তি জানায় যে কালামসারির উইটনেস সেন্টারে বিস্ফোরক সে-ই রেখেছিল। গোটা রাজ্যকে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে রাখা হয়েছে, জানান তিনি।

বিস্ফোরণের কারণ স্পষ্ট নয়। ঘটনাটিকে নিন্দাজনক বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এলাকায় পৌঁছে গেছে প্রচুর অ্যাম্বুলেন্স স্থানীয় সব স্তরের স্বাস্থ্য কর্মীদের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তারা পৌঁছেছেন ঘটনাস্থলে। পুলিশ জানিয়েছে আহতদের মধ্যে ১৮ জনকে ভর্তি করা হয়েছে আইসিইউ’তে।

জানা গিয়েছে ঘটনায় আহত একাধিক তাদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত চলছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টেলিফোনে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের সঙ্গে। নাশকতার তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ। ঘটনায় সন্ত্রাসবাদী যোগসাজশের তদন্ত শুরু হয়েছে। 

ঘটনার বিভিন্ন ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে অনুষ্ঠানের মাঝে পরপর বিস্ফোরণের শব্দ। ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে ঘরে। আর্তদের, বিশেষ করে শিশু ও নারীদের চিৎকার শোনা গিয়েছে। অনেকে আগুন নেভাতে তৎপর হয়ে পড়েছেন। 

ঘটনার খবর মিলতেই পৌঁছায় পুলিশের বিশাল বাহিনী। আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত পাঠানো হয় হাসপাতালে। মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন জানিয়েছেন, কড়া তদন্ত চালাবে রাজ্য পুলিশ। পুলিশের ফরেনসিক দল নমুনা সংগ্রহ করেছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, স্থানীয় সরঞ্জামে তৈরি বিস্ফোরক বা ‘আইইডি’ ব্যবহার করে নাশকতা চালানো হয়েছে। 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দিল্লি, উত্তর প্রদেশ এবং মুম্বাইয়ে সতর্কতা জারি করেছে। তৎপরতার সময়েই বিভাজনের বার্তা ছড়াতে নেমেছে বিজেপি। দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সিপিআই(এম)’কে দায়ী করেছেন ইজরায়েলের আগ্রাসনের বিরোধিতা করা জন্য। মালব্যের মন্তব্য, ‘‘মনে হচ্ছে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী সিপিআই(এম) নেতা পিনারাই বিজয়ন বেশি চিন্তিত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হামাসের ওপর ইজরায়েলের আক্রমণ নিয়ে। অথচ কোচিতে খ্রীস্টানরা আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। এর আগে খ্যাথলিক চার্চ হামাসকে মান্যতা দেওয়ার বিরোধিতা করেছিল।’’

কড়া জবাব দিয়েছে সিপিআই(এম)-ও। পার্টি নেতৃবৃন্দ বলেছেন যে বিরোধিতা করা হচ্ছে ইজরায়েলের দখলদারির। বিরোধিতা করা হয়েছে যুদ্ধের। রাষ্ট্রসঙ্ঘে নরেন্দ্র মোদীর ভারত বিরত থাকলেও ১৯৩ দেশের মধ্যে ১৪০টি দেশই যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দিয়েছে।  

Comments :0

Login to leave a comment