সিবিআই’র তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলেছে। চিকিৎসক ছাত্রীর মৃত্যুর নতুন তদন্ত রিপোর্ট দেখে এই মন্তব্য করল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এদিন সুপ্রিম কোর্টে বিকেলের পর হয়েছে শুনানি। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে গত সপ্তাহে হামলার ঘটনা জানানো হয়েছে প্রধান বিচারপতিকে।
এদিনও আদালতে রোগীর মৃত্যুতে জুনিয়র ডাক্তারদের দায়ী করেছে রাজ্য। জুনিয়র ডাক্তারদের আআইনজীবো স্পষ্ট জানান আউটিডোর এবং হাসপাতালের ভেতর কাজে যোগ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। উল্লেখ্য, ১১ সেপ্টেম্বর আন্দোলন জারি রেখেও কর্মবিরতি আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা।
সাগর দত্ত হাসপাতালে গত বৃহস্পতিবার ফের হামলার শিকার হন জুনিয়র ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেই প্রসঙ্গ তোলা হয় আদালতে। প্রধান বিচারপতিকে রাজ্য জানিয়েছে সুরক্ষা সম্পর্কিত বিষয়গুলি বাস্তবায়িত করতে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সময় লাগবে।
এদিন শুনানিতে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ‘থ্রেট কালচার’ এবং মেডিক্যাল শিক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগে সরব হন জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী।
বিচারপতিরা অভিযোগ শুনে বলেছেন, এর সামান্য অংশ সত্যি হলেও তা ভয়ঙ্কর।
জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষে বলা হয়েছে, মেডিক্যাল পরীক্ষার্থীদের টাকার বিনিময়ে উত্তরের সূত্র বিক্রি করা হয়। চলে ঘুষ। তার ওপর যৌন হেনস্তাও চলছে। শাসানির সংস্কৃতি চলছে সব মেডিক্যাল কলেজে। এই ‘থ্রেট কালচার’ গেড়ে রয়েছে ব্যবস্থায়।
এদিন নিহত নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ না করা প্রসঙ্গেও সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল জবাব হয়েছে। কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রককে আদালত নির্দেশ দিয়েছে একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে। সোশাল মিডিয়া বা অন্য কোনও ক্ষেত্রে পরিচয় প্রকাশিত হলে যাতে তা বন্ধ করা যায়।
প্রশ্ন ওঠে কলকাতার সদস্য প্রাক্তন বিনীত গোয়েলের ভূমিকা নিয়েও। সওয়ালে বলা হয়েছে ঘটনার সময় পুলিশ কমিশনার পরিচয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন। অথচ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি।
সিবিআই-কে চিঠি দিয়ে বিভিন্ন বিক্ষকে নির্দিষ্ট করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই চিঠির প্রতিলিপি বিচারপতিদের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে শীর্ষ আদালত জাতীয় টাস্ক ফোর্স তৈরি করে হাসপাতালে চিকিৎসকদের সুরক্ষা সংক্রান্ত গাইডলাইন নির্দিষ্ট করতে। এই টাস্ক ফোর্সে পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিত্বের আবেদন জানানো হয়েছে। ১৪ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে রিপোর্ট পেশ করতে টাস্ক ফোর্সকে নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
R G Kar Hearing Supreme Court
গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলেছে তদন্তে, সিবিআই’র রিপোর্ট দেখে মন্তব্য আদালতের,
×
Comments :0