BALASORE TRAIN ACCIDENT

বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনায় সাসপেন্ড আরও চার রেলকর্মী

জাতীয়

BALASORE TRAIN ACCIDENT

বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনায় আরও চার কর্মীকে সাসপেন্ড করল রেল। এর আগে রেলের তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। ২ জুন বালেশ্বরের বাহানাগা বাজার স্টেশনে তিনটি ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় সরকারি ভাবে ২৯৩ জনের মৃত্যু স্বীকার করা হয়েছে। স্থানীয় বিবরণ অনুযায়ী মৃত্যু হয়েছে আরও বেশি যাত্রীর। 

দুর্ঘটনায় মারা যান পশ্চিমবঙ্গের বহু বাসিন্দা। অনেকেই পরিযায়ী শ্রমিক।

বুধবার যে চারজনকে কর্তব্যে অবহেলার জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছেন স্টেশন মাস্টারও। বালেশ্বরের ট্রাফিক ইনস্পেকটর, সিগন্যাল টেকনিশিয়ান এবং সহকারী সিগন্যাল ইঞ্জিনিয়ার। গত ৭ জুলাই সিবিআই গ্রেপ্তার করেছিল অন্য তিন কর্মীকে। 

দুর্ঘটনার এক মাস পরও ৪১ জনের দেহ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া যায়নি। ডিএনএ পরীক্ষা করে শনাক্ত করার প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। 

ঘটনার দিন বাহানাগা বাজার স্টেশনে করমন্ডল এক্সপ্রেস ভুল সিগন্যাল পেয়ে লুপ লাইনে ঢোকে। দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে ধাক্কা দিয়ে ছিটকে পড়ে পাশের লাইনে। উলটোদিক থেকে আসছিল বেঙ্গালুরু থেকে রওনা হওয়া যশোবন্তপুর এক্সপ্রেস। সেই ট্রেন গিয়ে পড়ে উলটে থাকা করমণ্ডলের বগির ওপর। 

কমিশন অব রেলওয়ে সেফটি দুর্ঘটনার তদন্ত করছে। প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বারবার সতর্কবার্তা উপেক্ষা না করলে এত মানুষের মৃত্যু এড়ানো যেত। লেভেল ক্রসিং লোকেশন বক্সের তার ভুলভাবে চিহ্নিত ছিল। সেগুলি অনেকদিন ধরে এভাবেই পড়ে রয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের সময় একটির সঙ্গে অন্যটিকে গুলিয়ে ফেলা হয়েছিল। তারও আগে সিএজি রিপোর্টে সিগন্যালিংয়ের মতো যাত্রী সুরক্ষার বিষয়ে সতর্ক করা হয় রেলকে। টাকা খরচে অপরিকল্পনা চিহ্নিত হয়। যে সুপারিশ কার্যকর করার দায়িত্ব রেল মন্ত্রী এবং শীর্ষ স্তরের আধিকারিকদের। 

কেবল নিচের স্তরে কর্মী ও আধিকারিকদের ব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর ত্রুটি শুধরানো যাবে কতটা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। 

Comments :0

Login to leave a comment