শহরে বন্যা এখন দেশের সমস্যা হয়ে উঠেছে। শহরে জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে এই সমস্যা চিন্তায় রেখেছে আবহাওয়া বিভাগকেও।
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে জলবায়ু সঙ্কটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের প্রধান মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র। তিনি জানিয়েছেন, জলবায়ু সঙ্কটে প্রাণহানি কমাতে পেরেছে ভারত। তবে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে।
এই সময়ে উত্তর পশ্চিম ভারতের একের পর এক রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি চলছে। হিমালয়ের কোলে থাকা রাজ্যগুলিতে জমি ধসে যান চলাচল আটকে গিয়েছে। মাঝে মাঝেই আচমকা বান ভাসিয়ে দিচ্ছে জনপদ। রাজধানী দিল্লির বহু এলাকা ভেসে গিয়েছে যমুনার জলে। গোট এলাকায় শতাধিক ট্রেন বাতিল করেছে রেল।
রেল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যে ৭ থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে ৩০০টি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন এবং ৪০৬টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল হয়েছে।
মহাপাত্র এদিন তুলনা টেনেছেন ২০১৩’র কেদারনাথ বন্যা পরিস্থিতির সঙ্গে। তিনি বলেছেন, ‘‘হিমাচল প্রদেশে এবারের বন্যার সঙ্গে কেদারনাথের তুলনা করা যেতে পারে। দেখা যাচ্ছে, সেই সময়ের তুলনায় সতর্কতা ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে বড় মাত্রায়। ক্ষয়ক্ষতি রোধ এবং প্রস্তুতির কাজেও বিশেষ সুবিধা হয়েছে সতর্কতা ব্যবস্থা থাকায়। প্রাণহানি আমরা কমাতে পারছি। কিন্তু সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে।’’
তাঁর মত, দেশে সম্পদ বাড়ছে। জলবায়ু সঙ্কটে সম্পদহানির অঙ্কও বাড়ছে।
পরিবেশ এবং জলবায়ু বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার’-র একটি রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় এই ব্যাখ্যা দিয়েছেন মহাপাত্র। তিনি বলেছেন বজ্রপাত নিয়েও। দেশে প্রতি বছর আড়াই হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন বাজ পড়ার কারণে। তিনি বলেছেন, ‘‘উপকূলীয় সাইক্লোন মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুতি নিতে পেরেছি। কিন্তু বজ্রপাত হয় খুব কম সময়ের মধ্যে। নির্দিষ্ট পূর্বাভাস দেওয়াও কঠিন।’’
আবহাওয়া বিভাগ, ভূবিজ্ঞান মন্ত্রক এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ট্রপিকাল মেটেওরলজি একত্রে বজ্রপাত পূর্বাভাসের ব্যবস্থা যদিও করেছে। বিশ্বে এমন ব্যবস্থা কেবল পাঁচটি দেশে রয়েছে।
Comments :0