সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন, ‘‘বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার বৈঠকের এজেন্ডা নিয়ন্ত্রণ করে সিপিআই(এম)। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমি যাদের বিরুদ্ধে ৩৪ বছর ধরে লড়াই করলাম, তাদের এই ভূমিকা আমি মেনে নিতে পারিনা। কিন্তু এই অপমানের পরেও আমি ইন্ডিয়া ছেড়ে চলে আসিনি”।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্যের পালটা প্রশ তুলেছেন অধীর চৌধুরী, “ যে দিন দেখলেন সিপিআই(এম) মাতব্বরি করছে সেদিন কেন উনি বলেননি যে থাকবেন না ?”। অধীর বলেছেন, “ বিজেপির সাথে ভোট ভাগাভাগি করতে চাইছে। তার জন্য মমতা ব্যানার্জি বাহানা বানাচ্ছেন”।
বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে এভাবেই মমতা ব্যানার্জি’র মন্তব্যের জবাব দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। এদিন অধীর বলেন, ইণ্ডিয়ার বৈঠকে সীতারাম ইয়েচুরি ছিলেন, মমতা সেদিনই বলতে পারতেন যে তিনি থাকবেন না। এখন বাহানা খুঁজছেন মমতা ব্যানার্জি।
মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আসন ছাড়া নিয়ে। এই প্রশ্নে অধীর বলেন, “ মমতা ব্যানার্জি’র দয়ায় আমরা রাজনীতি করি না। মমতা একজন সুবিধাবাদী নেত্রী। মেরুকরণের রাজনীতি করছেন মমতা। যে কোন বাহানা বানিয়ে ইন্ডিয়া’র বিরুদ্ধে বয়ানবাজি করছেন তিনি”।
প্রবল শব্দে মাইক, ডিজে থেকে রাস্তায় বাইক বাহিনীর দাপাদাপি। সোমবার দিনভর নীরব ছিল প্রশাসন। এই নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অধীর চৌধুরী বলেন, “ মমতার নির্দেশেই নীরব প্রশাসন। 'রাম’কে খাড়া করো। বিজেপি পার্টির সুবিধা করো। মোদী আর মমতার ভাগাভাগি করো। এটাই এখানে গল্প”।
অধীর বলেন, " বাংলার রাজনীতিকে বারবার দিদি আর মোদী মিলে বিভাজিত করতে পারবে না। রামের পুজো নয়, সোমবার অযোধ্যায় হয়েছে মোদীর পুজো। বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে বললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, সাংসদ অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, “
এদিন অধীর বিজেপিকেও একই ভাবে আক্রমণ করেছেন। অধীর বলেন, বিজেপি সাধারণ মানুষের কাছে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর প্রতি শ্রদ্ধাকে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। খাটো করতে চেয়েছিল।
Comments :0