আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করা গিয়েছে। যমুনোত্রী হাইওয়েতে দন্দলগাঁও ও সিল্কিয়ারা সংযোগের নির্মীয়মান টানেলে ধস নামে রবিবার ভোরে। সোমবার বিকেলেও তাঁদের উদ্ধার করা যায়নি।
উত্তরাখণ্ড প্রশাসন জানাচ্ছে যে ওয়াকিটকির মাধ্যমে আটকে থাকা ৪০ জন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়েছে। ধসে যাওয়া অংশ থেকে মাটি আর পাথরের স্তূপ সরানোর কাজ চলছে। এখনও ৬০ মিটার কেটে সরাতে হবে।
এদিনও প্রশাসন জানিয়েছে যে শ্রমিকদের খাবার ও জল সরবরাহ করা হচ্ছে। পাইপে অক্সিজেনও পাঠানো হচ্ছে সুড়ঙ্গে। উত্তরকাশী জেলার এই নির্মীয়মান সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক শ্রমিক। উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
প্রায় ৩৬ ঘন্টা খুঁড়েও ২০ মিটার সুড়ঙ্গপথে চাঙড় এবং কাদামাটির স্তূপ সরানো সম্ভব হয়েছে। নির্মীয়মান সুড়ঙ্গ ভেঙে পড়ায় কংক্রিটের বড়বড় চাঙড় ভেঙে পড়ে রয়েছে।
হিমালয়ের বুকে সুড়ঙ্গ করে পরিকাঠামোর কাজে এমন বিপর্যয় নতুন নয়। বারবার এমন পরিকাঠামো নির্মাণে সতর্কতার দাবি উঠেছে বিশেষজ্ঞ স্তর থেকে। তবে তাতেও বিপজ্জনক প্রকল্প বন্ধ হচ্ছে না। সারা বছর যান চলাচলের উপযোগী রাস্তা তৈরির ঘোষণা করে চলছে এমন প্রকল্প।
পশ্চিময়ঙ্গ ছাড়াও বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তর প্রদেশ, ওড়িশা, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের শ্রমিকরা আটকে রয়েছেন সুড়ঙ্গপথে। এখানেও কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল বেসরকারি সংস্থাকে।
সোমবার এলাকায় গিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। চারধাম প্রকল্পের জন্য এই কাজ হচ্ছে। চারধাম প্রকল্প ঘিরেই এমন বিপর্যয় হয়েছে আগেও। উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গের প্রবেশপথ থেকে ২০০ মিটার দূরে ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
Comments :0