ব্যালট পেপারের জালিয়াতি রুখতে বামপন্থীরা প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হবেন। আদালতে আবেদন জানাবেন, যাতে স্ট্রং রুম এবং ব্যালট বাক্স যথাযত ভাবে পাহাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। ব্যালট পেপার যেখানে ছাপা হচ্ছে, সেখান থেকে ব্যালট পেপারের প্রথম থেকে শেষ ক্রমাঙ্ক এফিডেভিট করে কোর্টে জানাতে হবে। একইসঙ্গে জানাতে হবে, কত ব্যালট ছাপা হল এবং সেগুলি কার হাতে তুলে দেওয়া হল। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে দাঁড়িয়ে এমনটাই বললেন সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
সেলিম তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, জালিয়াতরা যখন ক্ষমতায় যায়, তখন সব জায়গায় জালিয়াতি করে তাঁরা। তৃণমূল স্কুলের নিয়োগে জালিয়াতি করেছে। ওএমআর শিটে কারচুপি করেছে। এখন একই কায়দায় জাল ব্যালট ছাপিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে কারচুপি করতে চাইছে প্রশাসনকে ব্যবহার করে। কিন্তু তৃণমূল এই কাজে সফল হবে না। সমস্ত এলাকার মানুষ ভোটের মাধ্যমে এর জবাব দিতে তৈরি। বুথ রক্ষা করবেন মানুষ। ভোটের পরে, গণনা অবধিও পাহাড়া দেবেন মানুষ।
তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষের জেরা প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, সায়নী ঘোষের জেরা আরও আগে হওয়া উচিত ছিল। অভিষেক ব্যানার্জির সঙ্গে তাঁর ফোনের কললিস্ট মিলিয়ে জেরা করা উচিত। মমতা ব্যানার্জি প্রকাশ্যে বলেছেন, ৭৫ শতাংশ কালীঘাটে পাঠিয়ে দেবে। বাকিটা নিজেরা খাও। সায়নী ঘোষেরা সেই কাজই দায়িত্ব নিয়ে করেছেন। এখনও অবধি যেই টাকার পাহাড় দেখা গিয়েছে, তা আসলে তিন ভাগের একভাগ। বাকি দু’ভাগ জমা হয়েছে কালীঘাটে।
সেলিম আরও বলেন, পুলিশ চোর ধরে না বলেই মানুষকে ‘চোর ধরো জেলে ভরো’র দাবি জানাতে হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন নিজের কাজ সুষ্ঠু ভাবে এবং নিরপেক্ষ ভাবে করছে না বলেই নকল ব্যালট ছাপানোর গুরুতর অভিযোগ উঠছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে যত প্রাণ গিয়েছে এবং ভবিষ্যতে যাবে, তার সমস্ত দায় রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। একইসঙ্গে নতুন করে যাতে কোনও রক্তপাত না ঘটে, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
Comments :0