৩ নভেম্বর কোচবিহার থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যের যুবদের ডাকা ইনসাফ যাত্রা। ৭ জানুয়ারি ব্রিগেডে সভার মাধ্যমে শেষ হবে ইনসাফ যাত্রার পথচলা। এরমধ্যেই ইনসাফ যাত্রার বেশ কিছু খুঁটিনাটি তথ্য প্রকাশ করে একটি পোস্ট করা হয়েছে সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে।
মঙ্গলবারের এই পোস্টে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের ১৭টি জেলা ছুঁয়ে ফেলেছে এই পদযাত্রা। ১৬০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রিম করেছেন পদযাত্রীরা। ২৫০টির বেশি জনসভা হয়েছে।
ডিওয়াইএফআই নেতৃত্ব জানাচ্ছেন, এখনও অবধি ইনসাফ যাত্রায় অংশ নিয়েছেন ১২ লক্ষের বেশি মানুষ। ৪০ দিন ধরে টানা এই পদযাত্রা চলছে। গ্রাম-মফস্বলের যুব সমাজের মধ্যে কার্যত আলোড়ন ফেলেছে ডিওয়াইএফআই রাজ্য কমিটির ডাকা এই পদযাত্রা।
মঙ্গলবার হাওড়া হয়ে হুগলি জেলায় প্রবেশ করে ইনসাফ যাত্রা। হুগলির মাহেশে আতশবাজি ফাটিয়ে পদযাত্রাকে বরণ করে নেন স্থানীয় মানুষ। হাওড়ায় থাকাকালীন পুলিশের হাতে খুন হওয়া ছাত্রনেতা আনিস খানের কবরে গিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান যুব নেতৃত্ব। এরপর আন্দুলে শহীদ ছাত্রকর্মী স্বপন কোলের মা-বাবার সঙ্গেও দেখা করেন মীনাক্ষি মুখার্জি, ধ্রুবজ্যোতি সাহা সহ যুব নেতৃত্ব। এই প্রতিনিধি দলে আনিস খানের বাবা সালেম খানও ছিলেন। তিনিও স্বপন কোলের মা-বাবাকে ভরসা যোগান।
ডিওয়াইএফআই জানাচ্ছে, হুগলি পেরিয়ে পদযাত্রা পূর্ব বর্ধমানে ঢুকবে। তারপর গঙ্গা পেরিয়ে পদযাত্রা প্রবেশ করবে নদীয়ায়। নদীয়ার পরে উত্তর ২৪ পরগণা হয়ে ইনসাফ যাত্রা পৌঁছবে দক্ষিণ ২৪ পরগণায়।
Comments :0