PRICE VEGETABLE

পুজোর পরও সবজি কিনতে হাত পুড়ছে ক্রেতাদের

জেলা

জলপাইগুড়ির বাজারে সরকারি আদিকারিকদের টহল। তবে ক্রেতারা পাচ্ছেন দামের জ্বালা থেকে রেহাই।

দীপশুভ্র সান্যাল: জলপাইগুড়ি

রবিবারের বাজারে সবজিতে সেঞ্চুরি। জলপাইগুড়িতে সবজি বাজারে আগুন। কোনটাই প্রায় কেজিতে ৬০-৮০ টাকার নিচে মিলছে না। পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কায় তো সেঞ্চুরি চলছে! 
বাজারে আসা ক্রেতারা নাজেহাল। জলপাইগুড়ি ইন্দিরাগান্ধী কলোনি মোড়, দিনবাজার, বয়েলখেনা বাজার, স্টেশন বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে সবজি সহ বিভিন্ন জিনিসের দাম অনেকটাই বেশি। শীত পড়লেও সেভাবে শীতের সবজির জোগান মিলছে না বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। তাঁদেরও সবজি কিনতে হচ্ছে অনেক বেশি দামে। 
শহরের বাজার থেকে গ্রামের দিকে গেলে আলু, পেঁয়াজ ও লঙ্কার দাম আরো বেশি বলে অভিযোগ। চরম সমস্যায় জনতা। প্রশাসনের আধিকারিকরা মাঝে মধ্যে বাজার পরিদর্শন করলেও কিছুক্ষণের জন্য কিছু দাম কমলেও চলে গেলে আবার যে কে সেই দাম বেশি বলে অভিযোগ করতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয় সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে বিক্রেতাদের বক্তব্যের মধ্যে দাম কম শোনা যায়। কিন্তু তারপরেই একেক দোকানে একেক রকম দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন জিনিসপত্র বলে অভিযোগ। দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ভাইফোঁটা ও ছটপুজো শেষ হলেও রবিবার জিনিসের দাম অনেকটাই বেশি। 
তবে আবহাওয়ার খালখেয়ামিপনাকেই দায়ী করছেন বিক্রেতারা। শীতের মৌরসুম, কুয়াশার সেভাবে দেখা নেই, সূর্য উঠতেই বেলা বাড়তেই রোদের তেজ, গরম। সবজির ক্ষেত্রে এই আবহাওয়া সহায়ক নয়। সে কারণেই সবজির ফলন কম। বেশি টাকা দিয়ে অল্প সবজি কিনে বাজারে এনে বিক্রি করতে হচ্ছে। আর এসব কারণেই ক্রেতাদের কাছে সবজির দাম বেশি মনে হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা।
প্রশাসনের টাস্ক ফোর্স জলপাইগুড়ি দিনবাজার পরিদর্শনে আসে। রবিবার সদর মহকুমা শাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী, এগ্রি মার্কেটিং এবং পুলিশ বাহিনী ও অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে আলু সহ বিভিন্ন জিনিসের দাম নিয়ে কথা বলেন বিক্রেতাদের সঙ্গে। কী কারণে দাম এত বেশি সেটাই খতিয়ে দেখছেন তারা।
এদিন মহকুমা শাসক খুচরো এবং পাইকারি বাজারে গিয়ে আলু পেঁয়াজের দাম সহ বিভিন্ন জিনিসের দাম নিয়ে কি বিষয়ে বিলপত্র সব খতিয়ে দেখেন।
তবে আমজনতার অভিজ্ঞতা ভিন্ন। সরকারি পরিদর্শন হলেও শেষ পর্যন্ত বাজারে বিশেষ প্রভাব পড়ে না। সবজি কিনতে হাত পুড়ছে ক্রেতাদের।

Comments :0

Login to leave a comment