PANCHAYAT ALL PARTY ELECTION

পঞ্চায়েত: ১২ জুন হতে পারে সর্বদলীয় বৈঠক

রাজ্য

এই প্রথম সর্বদল বৈঠক ছাড়াই নির্বাচন ঘোষণা করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদের তরফে তা নিয়ে প্রশ্নও ওঠে। কমিশন সূত্রে খবর আগামী সোমবার, ১২ জুন, হতে পারে সর্বদলীয় বৈঠক।

বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ৮ জুলাই হবে নির্বাচন। ফল ঘোষণা ১১ জুলাই। শুক্রবার সকাল এগারোটা থেকে দুপুর তিনটে পর্যম্ত মনোময়ন পত্র জমা নেওয়া হবে। রবিবার বন্ধ থাকবে মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়ার কাজ। ১৫ জুন পর্যন্ত নেওয়া হবে মনোনয়ন পত্র। ১৭ তারিখ স্ক্রুটিনির শেষ দিন। প্রত্যাহারের শেষ দিন ২০ জুন। 

২০১৮’র পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পেশেই বাধা দেওয়া হয় বামফ্রন্ট প্রার্থীদের। এমনকি জেলা শাসকের দপ্তরে মনোনয়ন দিতে গিয়েও সশস্ত্র তৃণমূল বাহিনীর হামলার মুখে পড়েন বামফ্রন্ট প্রার্থীরা। সর্বত্র পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা নিয়েছিল। কোনও ব্যবস্থা নেয়নি নির্বাচন কমিশনও। 

কমিশন সূত্রে খবর, এবার যেখানে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হবে তার ২শো মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। এক দফাতেই হবে নির্বাচন। বৃহস্পতিবার থেকেই জারি হয়েছে নির্বাচনী আচরণ বিধি। আত নির্বাচন ঘোষণার ঠিক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ নামে আরেকটি ফোন পরিষেবা চালুর ঘোষণা করেছেন। 

২০১৮ সালের মে মাসে নির্বাচন হলেও বিভিন্ন জায়গায় পঞ্চায়েত গঠন করতে প্রায় আগস্ট মাস পর্যন্ত সময় গড়িয়েছিল। বেনিয়মের ঠেলায় বহু জায়গায় ফলাফল কমিশনের ওয়েবসাইটে তোলা যায়নি দীর্ঘসময় পরও। 

সংবিধান অনুযায়ী পাঁচ বছরের মধ্যে নির্বাচন করতেই হবে। সেই মতো জুলাই মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে নির্বাচন প্রক্রিয়া। পঞ্চায়েতের সাংবিধানিক স্বীকৃতির ক্ষেত্রে বামফ্রন্ট সরকারের ভূমিকা স্বীকৃত সারা দেশে। পশ্চিমবঙ্গের মডেল অনুসরণ করেই সংবিধানে স্বীকৃতি দেওয়া হয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে। বস্তুত বামফ্রন্ট সরকারের মেয়াদে প্রতিবার নির্দিষ্ট সময়ে কেবল পঞ্চায়েত নয়, পৌরসভা এবং কর্পোরেশনেরও নির্বাচন হয়েছে। 

Comments :0

Login to leave a comment