কেন্দ্র জানিয়েছে, এই কমিটিতে থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, লোকসভায় সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী, রাজ্যসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ, ফাইনান্স কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এনকে সিং, লোকসভার প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল সুভাষ সি কাশ্যপ, বর্ষীয়ান আইনজীবী হরিশ সালভে এবং প্রাক্তন মুখ্য ভিজিলেন্স কমিশনার সঞ্জয় কোঠারি।
নির্দেশিকা অনুযায়ী, এই কমিটির স্থায়ী সদস্য না হলেও বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল।
প্রসঙ্গত, বর্ষীয়ান নেতা জম্মু ও কাশ্মীরের গুলাম নবি আজাদ কংগ্রেস ছেড়ে নিজের দল তৈরি করেছেন। তিনিও জায়গা পেয়েছেন কমিটিতে।
শুক্রবার সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী এক দেশ এক নির্বাচন নীতি প্রণয়নের জন্য কমিটি তৈরির কথা সামনে আনেন। শনিবার সেই কমিটির পূর্ণাঙ্গ রূপ ঘোষিত হল। যোশী জানিয়েছেন, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সবেমাত্র কমিটি তৈরি হল। এই কমিটি তার রিপোর্ট জমা দেবে। সেটা জনসমক্ষে আনা হবে, তারপর সংসদে সেটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।’’
সিপিআই(এম)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য টমাস আইজ্যাক বলেছেন, ‘‘দুর্নীতি এবং অন্যান্য জ্বলন্ত সমস্যা থেকে নজর ঘোরাতেই এক দেশ এক নির্বাচনের বিষয়টি সামনে আনার চেষ্টা করছে বিজেপি। এই নীতি কার্যকর হলে লোকসভা নির্বাচনের ইস্যু রাজ্যগুলির বিধানসভা নির্বাচনের উপর চাপিয়ে দিতে পারবে বিজেপি। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস হবে এর ফলে।’’
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেন, লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আনতে চাইছে বিজেপি। সেপ্টেম্বরে সংসদের বিশেষ অধিবেশনের ডাক দেওয়া হয়েছে সে কারণেই।
২০১৪ সাল থেকে সারা দেশে একই সময়ে লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করেছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই আইন কমিশন, নীতি আয়োগ এবং সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি এই সংক্রান্ত তিনটি রিপোর্ট তৈরিও করেছে। ফের একটি কমিটি গড়ল কেন্দ্র।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, কেবলই মোদীই মুখ। সে কারণেই একসঙ্গে সব ভোট হলে সুবিধা হবে বলে মনে করছে বিজেপি।
লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্য প্রদেশের নির্বাচন রয়েছে। আবার লোকসভা নির্বাচনের কিছু পরই রয়েছে দিল্লি, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রের মতো একাধিক রাজ্যে নির্বাচন। গতবার লোকসভার ভোট হয়েছিল এপ্রিল-মে’তে।
সংবিধান অনুযায়ী কোনও রাজ্যে বিধানসভা ভেঙে মেয়াদের আগে ভোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে এক সঙ্গে ভোট চাপিয়ে দিতে গেলে সংবিধান সংশোধনের দরকার হবে। না হলে জরুরি অবস্থা জারি করতে হবে।
কমিটির রিপোর্ট দেওয়ার কোনও সময়সীমা এদিন ঘোষণা করেনি সরকার। যোশী আলোচনার যে প্রক্রিয়ার কথা বলেছেন, লোকসভা ভোট স্বাভাবিক সময়ে হলেও, সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে কিনা স্পষ্ট নয়।
Comments :0