সুন্দরবনের উপকূলে রেমালের রক্তচক্ষু। কানায় কানায় ভরে গিয়েছে নদীবাঁধ। আর একটু সময় পরেই গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করবে। সপ্তম দফায় ভোট সুন্দরবন সন্দেশখালিতে। তার আগে রেমালের রক্তচক্ষু ভয় ধরাচ্ছে বাসিন্দাদের। ঘর বাড়ি বাঁচবে তো ভোট ভুলে এখন এই আতঙ্কে প্রহর গুণছেন বাসিন্দারা।
ফেরি চলাচল বন্ধ। নেবুখালিতে ভেসেল পরিষেবা চালু থাকলেও যেভাবে ইছামতি নদীর জলস্তর বাড়ছে তাতে করে ভেসেল চালানো সম্ভব হবে না। একটু পরেই হয়তো বন্ধ করে দিতে হবে ভেসেল পরিষেবা। বলছেন ভেসেলের কর্মরত কর্মীরা। মোড়েলগঞ্জ, হেমনগর, কালিতলা, গোবিন্দকাটি, সামসেরনগরের মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। ভেসেল বন্ধ হয়ে গেলে বাকিরা কী ভাবে ফিরবে তাদের বাড়িতে সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
সপ্তম দফার নির্বাচনের প্রাক মূহুর্তে শেষ রবিবাসরীয় প্রচার ছিল এদিন। মাঝে আর মাত্র পাঁচটা দিন। শেষ দফা অর্থাৎ ১ জুন রাজ্যের ৯টি লোকসভার নির্বাচন হতে চলেছে। যার মধ্যে বসিরহাট লোকসভা একটি। মূলত সুন্দরবনাঞ্চলের হিঙ্গলগঞ্জ সন্দেশখালি বিধানসভা কেন্দ্র এই লোকসভা কেন্দ্রের অধীন। এছাড়া মিনাখাঁ হাড়োয়া বিধানসভা, হাসনাবাদ ব্লক তো আছেই। নদীমাতৃক হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ইতিমধ্যে উঠতে শুরু করেছে। আর তা হলো মাল্টিপারপাস সাইক্লোন সেন্টারের পাশাপাশি বহু পাকা স্কুলে ঠাঁই হয় নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির কারণে এখনও পাকা ছাদ যুক্ত বাড়ি পায় নি এমন বাসিন্দাদের সংখ্যা অসংখ্য। স্বাভাবিকভাবেই তারা বিপর্যয়ের হাত থেকে নিজেদের এবং গবাদিপশুদের বাঁচাতে ঠাঁই নেবে মাল্টিপারপাস সাইক্লোন সেন্টার ও স্কুলগুলিতে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাল্টিপারপাস সাইক্লোন সেন্টার ও স্কুলগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে। খাবার মজুত রাখা হয়েছে। এই স্কুলগুলিকে আবার ভোটদানের কেন্দ্র কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত করা হয়। ফলে প্রশ্ন উঠছে সপ্তম এবং শেষ দফার নির্বাচনে ধাক্কা খাবে না তো ভোটদানের প্রক্রিয়া?
Loksabha Election 2024
সুন্দরবনে ‘রেমাল’ দাপটে শঙ্কা ভোটদান প্রক্রিয়া নিয়ে
×
Comments :0