মাঝের ডাবড়ি চা বাগানের শ্রমিকরা তাদের গ্র্যাচুইটির দাবিতে বৃহস্পতিবার এ্যাসিসটেন্ট লেবার কমিশনারকে স্মারকলিপি দিলেন। শ্রমিকরা গ্র্যাচুইটি না পাওয়ার কথা স্মারকলিপিতে তুলে ধরেছেন। চা শ্রমিকরা জানান, ‘‘মাঝেরডাবরী চা বাগানের অবসরপ্রাপ্ত চা শ্রমিকরা ভালো অবস্থায় নেই। আর্থিক সঙ্কটে তাঁরা জর্জরিত। বাগানের 'ডাবরী টি' আজ ভারত বিখ্যাত একটি চায়ের নাম। শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমেই তা সম্ভব হয়েছে। অথচ শ্রমিকরা তাদের সমস্তরকম আইনী অধিকার থেকে বছরের পর বছর ধরে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। শ্রমিকদের বাসস্থান, মেরামত, জ্বালানী, চিকিৎসা কিছুই পাওয়া যায় না। অধিকার চাইতে গেলে কতৃপক্ষের কাছ থেকে বিভিন্ন রকম অসহযোগীতা কথা উঠে আসে। এত চাপের মধ্যেও কাজ করে অবসর গ্রহণের পর আমরা প্রাপ্য গ্র্যাচুইটি থেকে বঞ্চিত। চা শ্রমিকদের কোন নুন্যতম মজুরি নেই। সর্বনিম্ন মজুরিতে আমরা কাজ করতে বাধ্য হই। এই পরিমান মজুরি দিয়ে প্রতিদিনের সংসারের খরচ চালিয়ে সঞ্চয় করা দিবাস্বপ্ন।‘‘ শ্রমিকরা আরও জানিয়েছেন,‘‘অবসর গ্রহণের পর আইনত প্রাপ্য গ্র্যাচুইটি থেকেও আমাদের বঞ্চিত করা হয়। এই বৃদ্ধ বয়সে নানা রোগব্যাধির চিকিৎসা করাও আমাদের সম্ভব হয় না। বিবাহযোগ্যা মেয়েদের সময়মতো বিবাহ দেওয়া, উচ্চশিক্ষা দেওয়া অনেকসময় অর্থের অভাবে হয়ে ওঠে না। আমরা শ্রম আইন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না। আমাদের প্রাপ্য অধিকার কোথায় গেলে সমাধান হবে জানিনা, অনেকের সাহসও হয় না। আইন মেনে দ্রুত আমরা আমাদের বকেয়া প্রাপ্য গ্র্যাচুইটি পেতে পারি সেজন্য প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেবার আবেদন জানিয়েছি।’’ পি এফ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে চা শ্রমিকরা এদিন জানিয়েছেন পিএফ নিয়ে শ্রমিকদের বক্তব্য মালিক পক্ষ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন তাল বাহানা করছে। টাকা জমা না দিলে কেনো পিএফের টাকা কেটে নিলো।
দীর্ঘদিন থেকেই আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন চা বাগানের মালিকের বিরুদ্ধে টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। প্রতিশ্রুতি দিয়েও শ্রমিকদের পিএফের টাকা জমা দিচ্ছে না। টি এসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া নর্থ বেঙ্গল চেয়ারম্যান চিন্ময় ধর জানালেন, ‘‘গ্র্যাচুইটি আমাদের প্রতি মাসেই দেওয়া হয়। যাদের এখনও দেওয়া হয়নি তারা ধারাবাহিক পক্রিয়ার মধ্যে পাবেন।’’
Tea Garden Workers
গ্র্যাচুইটির দাবিতে চা শ্রমিকদের স্মারকলিপি
×
Comments :0