Attack on Signature Camping

সই সংগ্রহে ফের হামলা, জখম সিপিআই(এম) কর্মীরা, প্রতিরোধে পালালো দুষ্কৃতীরা

রাজ্য

Signature Camping

 

দেবদাস ভট্টাচার্য (বারাবনী) ও অনিল কুন্ডু (যাদবপুর)


সই সংগ্রহে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। বাধা হটিয়ে পালটা প্রতিরোধ গড়ছে সিপিআই(এম)। বুধবারও এই ছবি মিলেছে বারাবনীতে, যাদবপুরেও। পশ্চিম বর্ধমানের বারাবনীতে সশস্ত্র হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন সিপিআই(এম)’র দুই কর্মী। প্রতিরোধের জোরে অস্ত্র হাতে নিয়েই পালাতে হয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের। এদিনই যাদবপুরে প্রতিবাদ মিছিলে সিপিআই(এম) জানিয়েছে সই সংগ্রহ চলবেই। 
তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্বাক্ষর সংগ্রহের সময় সম্প্রতি তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা বাধা দিয়েছিল যাদবপুরের মুকুন্দপুর এলাকায়। বুধবারই প্রতিবাদে নামল সিপিআই(এম)। মিছিল করে জানিয়ে দেওয়া হলো দুর্নীতির প্রতিবাদ বন্ধ হবে না। প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে রাজ্যের মানুষের সই। রাজ্যে বেলাগাম দুর্নীতিতে বঞ্চিত সাধারণ মানুষের যন্ত্রণার বয়ান জানানো হবেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে।


বুধবার সন্তোষপুর জোড়াব্রিজ থেকে অজয়নগর পর্যন্ত মিছিল হয়। সিপিআই(এম) যাদবপুর পূর্ব এরিয়া কমিটি এই মিছিল করেছে। অজয়নগরে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) নেতা সঞ্জয় পুততুন্ড, অপর্ণা ব্যানার্জি, আইনজীবী ফিরদৌস শামীম প্রমুখ।
বুধবারই গণস্বাক্ষর ও গণসংগ্রহ অভিযান চলাকালীন বারাবনী থানার পানুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌরাংডিতে সিপিআই(এম) নেতা ও কর্মীদের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালায় সশস্ত্র তৃণমূল বাহিনী। হামলায় দশ পার্টিকর্মী আহত হয়েছেন। তৃণমূলী হামলায় মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছেন দুই জন ষাটোর্ধ্ব পার্টি কর্মী বীরেশ চন্দ্র মাজি ও মনোরঞ্জন চার। লাঠি দিয়ে এঁদের ঘিরে ধরে বেদম প্রহার করা হয়েছে। আহত দুইজন পার্টি কর্মীকে কেলেজোড়া ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। মাথা, মুখমন্ডল সহ দেহের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে। আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছেন চিকিৎসক। মাথার স্ক্যান সহ উন্নত চিকিৎসা দরকার। হামলাকারীরা গণসংগ্রহের অর্থ, যা কৌটায় সংগ্রহ করা হয়েছিল, সেই কৌটা নিয়ে পালিয়ে যায়।

সিপিআই(এম) নেতা পার্থ মুখার্জি, মনোজ দত্ত, জয়দীপ চক্রবর্তী, প্রিয়ব্রত সরকার, পার্টির বারাবনী এরিয়া কমিটির সম্পাদক তপন দাস এই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন। পার্টি কর্মী বীরেশ চন্দ্র মাজি ও মনোরঞ্জন চারকে ঘিরে ধরে মারার সময় তাঁদের রক্ষা করার জন্য অভিযানে শামিল অপর সদস্যরা এগিয়ে আসেন। তাঁরাও আহত হন। বীরেশ চন্দ্র ও মনোরঞ্জনের বাড়ি পানুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। হামলাকারীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসেছিল। স্থানীয় মানুষ এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়।
থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সিপিআই(এম) পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জি দোমহানিতে এরিয়া কমিটির দপ্তরে ছুটে আসেন। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

Comments :0

Login to leave a comment