Insaf Yatra

শহীদ সালকু সোরেনের মা ইনসাফ যাত্রায়

রাজ্য

ছবি: শ্যামল মজুমদার

চন্দন দাস- ঝাড়গ্রাম

সোমবার পদযাত্রা শেষ হয়েছিল লালগড়ে। মঙ্গলবার ইনসাফ যাত্রা শুরু হয় লালগড়েরই হরিণা থেকে। গত সোমবারের রাত থেকেই লালগড়ের মানুষের প্রবল আগ্রহ ছিল এই পদযাত্রা ঘিরে। হরিণাতে সকালেই, পদযাত্রা শুরুর আগে গ্রামবাসীদের অনেকে উপস্থিত হয়েছিলেন পদযাত্রীদের খোঁজ নিতে। সেখানে স্বভাবতই অভিষেক ব্যানার্জির জঙ্গল সাফারির মত কোনও দামী তাঁবু পড়েনি। একটি বাড়িতে পদযাত্রীরা রাত কাটিয়েছেন। 
এদিন ইনসাফ যাত্রার ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচমাথার মোড়ে ছিলেন শহীদ সালকু সোরেনের মা ছিতামণি সোরেন। 
মঙ্গলবার হরিণা থেকে লালগড় হয়ে দহিজুড়িতে পৌঁছোয় পদযাত্রা। সেখান থেকে পদযাত্রীরা ফের হেঁটে আসেন ঝাড়গ্রাম। বিভিন্ন জায়গায় গ্রামবাসীরা পদযাত্রার জন্য বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছেন। তাঁরা ফুল, মালায় সংবর্ধনা জানিয়েছেন পদযাত্রীদের। অপেক্ষায় থাকা গ্রামবাসীদের মধ্যে মহিলারাই ছিলেন বেশি। পুরুষদের একাংশ কাজের খোঁজে বাইরে আছেন। আর একটি বড় অংশ এদিন সকাল থেকে ধান কাটায় ব্যস্ত ছিলেন। সোমবার রাত এবং এদিন সকালের বৃষ্টির কারণে দ্রুত ধান কাটতে নেমেছেন মাঠে। 
ডিওয়াইএফআই’র ইনসাফ যাত্রার উপর নজর রেখেছেন মমতা ব্যানার্জির মন্ত্রীসভায় বন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। মঙ্গলবার ইনসাফ যাত্রা এগিয়েছে, তার অনেকটাই বীরবাহার বিধানসভা এলাকার মধ্যে। এদিন ঝাড়গ্রাম ছেড়ে পদযাত্রীরা যখন পশ্চিম মেদিনীপুরের পথে, তখন বীরবাহা বলেছেন, ‘‘ওরা কখন কোথায় গেছেন, কী বলেছেন সবই খবর নিয়েছি আমি। আমাদের বিরুদ্ধে যেমন বলেন, সমালোচনা করেন, তেমন করেছেন ওরা।’’ তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, অভিষেক ব্যানার্জি গত মে মাসে এসে তাঁবু খাটিয়ে ছিলেন, ইনসাফ যাত্রার পদযাত্রীরা কোথায় ছিলেন? বীরবাহা বলেন,‘‘হ্যাঁ, আমিও তাও জেনেছি। ওনারা কোনও তাঁবুতে নয়, ধরমপুরের কাছে একজনের বাড়িতে ছিলেন।’’
এদিন পদযাত্রায় ছিলেন প্রাক্তন যুবনেতা আভাস রায়চৌধুরী, রাজ্য কমিটির প্রাক্তন প্রতীম ঘোষ, পলাশ দাস। রয়েছেন ডিওয়াইএফআই’র সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্য, রাজ্য কমিটির সভাপতি ধ্রুবজ্যাোতি সাহা, সংগঠনের নেতা ইব্রাহিম আলি, কলতান দাশগুপ্ত, সিআইটিইউ নেত্রী মধুজা সেন রায়, গণ আন্দোলনের নেতা প্রদীপ সরকার, পুলিনবিহারী বাস্কে, প্রশান্ত দাস, পার্থ যাদব, দিবাকর হাঁসদা, ফুল্লরা মন্ডল প্রমুখ।
ঝাড়গ্রামের সভা পরিচালনা করেন ডিওয়াইএফআই-র ঝাড়গ্রাম জেলার সভাপতি সুকুমার বারিক। সভার শুরুতে ডিওয়াইএফআই-র প্রাক্তন নেতা কমরেড নারায়ণ বিশ্বাসের স্মরণে নীরবতা পালিত হয়। সংগঠনের নেতা প্রয়াত কমরেড উজ্বল দাসের মা বাসন্তী দাস আন্দোলন কর্মসূচীর সহায়তায় কিছু টাকা তুলে দেন মীনাক্ষী মুখার্জির হাতে। তৃণমূলের সাজানো মামলায় জেলবন্দী থাকা, সংগঠনের নেতা তাপস মল্লিককে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা দেওয়া হয় অভিনেতা বিমল চক্রবর্তীকে। 
ইনসাফ যাত্রাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজেশ মাহাতোও। কুড়মিদের কিছু দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের নেতা রাজেশ মাহাতো এদিন বলেন, ‘‘সকাল থেকে স্কুলে ছিলাম। তবে জানি মীনাক্ষী মুখার্জিরা জঙ্গলমহলে এসেছেন। আজও ছিলেন। ওরা ইনসাফের কথা বলছেন। জঙ্গলমহলের মানুষের ইনসাফের দাবি তুলেছেন। ওনারা প্রতিবাদী কন্ঠ। ওঁদের জন্য শুভেচ্ছা রইলো।’’
 

Comments :0

Login to leave a comment