SPEAKER 'INDIA'

রাহুল বিরোধী দলনেতা, বৈঠকে ‘ইন্ডিয়া’, অধ্যক্ষ নির্বাচনে পূর্ণ প্রস্তুতি, কাঁটা তৃণমূল,

জাতীয়

লোকসভা অধ্যক্ষ নির্বাচন ঘিরে পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ‘ইন্ডিয়া’-র বৈঠক চলছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে। 
বুধবার অধ্যক্ষ পদে নির্বাচন নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস সাংসদ কে সুরেশের নাম জমা পড়ায়। বিজেপি’র জোট এনডিএ’র পক্ষে ওম বিড়লা আগেই মনোনয়ন দাখিল করেছেন।
বিজেপি-কে স্বস্তি দিয়ে অধ্যক্ষ পদে নির্বাচন ঘিরে প্রশ্ন তোলে তৃণমূল কংগ্রেস। সন্ধ্যায় যদিও খাড়গের ডাকে বৈঠকে দলের সাংসদ সুদীপ ব্যানার্জিকে পাঠিয়েছে তৃণমূল। মমতা ব্যানার্জির দল দাবি করেছে যে তাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই সুরেশকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস।

এদিন রাতে লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে রাহুল গান্ধীর নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। 
লোকসভার অধ্যক্ষ নির্বাচন হয়ে থাকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে। কিন্তু এবার তা না হওয়ার জন্য বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদী সরকারকেই দায়ী করেছেন ‘ইন্ডিয়া’-র নেতৃবৃন্দ। রীতি অনুযায়ী সবচেয়ে বেশিবার জয়ী সাংসদকে নতুন লোকসভা অধিবেশনের শুরুতে দেওয়া হয় প্রোটেম স্পিকারের পদ। এবার সে দায়িত্ব পাওয়ার কথা ছিল কে সুরেশের। বিজেপি তার বদলে নিজেদের সাংসদ ভ্রাত্রুহরি মহতাবকে প্রোটেম স্পিকারের আসনে বসায়। 
রীতি অনুযায়ী উপাধ্যক্ষ বা ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিরোধী দলগুলি থেকে। অধ্যক্ষের পদে প্রার্থী দিলেও এনডিএ’র পক্ষে রাজনাথ সিং মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত খাড়গেকে জানাননি উপাধ্যক্ষ পদ ছাড়া হবে কিনা। আগের লোকসভায় পাঁচ বছর এই পদটি শূন্য রেখে দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু এবার সংখ্যায় বিরোধীরা অনেক বেশি শক্তিশালী। 
খাড়গে নিজেও জানান যে রাজনাথ সিং তাঁর সঙ্গে একাধিক দফায় কথা বললেও উপাধ্যক্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। ফলে অধ্যক্ষের পদে নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্র এবং সংসদের গরিমা রক্ষার স্বার্থে। সংখ্যার বিচারে সরকার পক্ষ এগিয়ে থাকলেও ‘ইন্ডিয়া’-র কাছে প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এটিই।
এনডিএ’র পক্ষে লোকসভার ভেতরে ভোটের আগে বিজেপি’র অমিত শাহ শরিক দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক করেছেন। সব সাংসদকে দশটার মধ্যে সংসদ ভবনে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাল ফের হতে পারে বৈঠক। অন্ধ্র প্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ৪ সাংসদ এনডিএ-কে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন বলে দাবি এনডিএ’র।
এর আগে লোকসভার অধ্যক্ষের পদে শেষ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৭৬-এ। ১৯৫২ ও ১৯৬৭ সালেও। ১৯৫২-তে প্রথম লোকসভার স্পিকার হন জিভি মবলঙ্কর।      
এদিন দিল্লিতে বিভিন্ন অংশের মত, ‘ইন্ডিয়া’-র সামনে চিন্তা খাড়া করেছে তৃণমূল। এর আগে বিজেপি বিরোধী উদ্যোগে ‘আগাম আলোচনার অভাব’ থাকার যুক্তিতে সরেও গিয়েছে তৃণমূল। এই যুক্তিতেই জগদেপ ধনকরের বিরুদ্ধে বিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন দেয়নি উপরাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনে।

Comments :0

Login to leave a comment