uk refugees

‘বেআইনি’ শরণার্থীদের ফেরত পাঠাবে ব্রিটেন

আন্তর্জাতিক

uk refugees


ব্রিটেনে ‘বেআইনি’ শরণার্থীদের আর থাকতে দেওয়া হবে না। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক জানিয়ে দিয়েছেন, বেআইনি ভাবে আসা শরণার্থীদের আটক করা হবে। তিনি অবশ্য ‘ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে ছোট নৌকায় আসা’ শরণার্থীদের কথা স্পষ্টত বলেছেন। কিন্তু হুঁশিয়ারি সুদূরপ্রসারী। 
এ সংক্রান্ত একটি বিল সংসদে পেশ করা হয়েছে। তারপরে টুইটে এবং পরে ব্যাখ্যা করেও সুনক বলেছেন, যাঁরা বেআইনি ভাবে ব্রিটেনে ঢুকবেন তাঁরা আশ্রয় চাইতে পারবেন না। ব্রিটেনে আধুনিক দাসত্ব বিরোধী আইনের রক্ষাকবচও তাঁরা পাবেন না। ভিত্তিহীন মানবাধিকারের দাবি করা যাবে না এবং ব্রিটেনে থাকা চলবে না। যাঁরা বেআইনি ভাবে ঢুকবেন তাঁদের আটক করে রাখা হবে এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের নিজের দেশে অথবা রোয়ান্ডার মতো নিরাপদ তৃতীয় দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। উপরন্তু একবার যাঁদের এভাবে ফেরত পাঠানো হবে তাঁরা কোনোদিনই ব্রিটেনে প্রবেশাধিকার পাবেন না। যেমন আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ম আছে। 


ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে নৌকোয় আশ্রয়প্রার্থী এবং শরণার্থীদের একাংশ ব্রিটেনে আসেন। ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানির তুলনায় শরণার্থীর সংখ্যা কম হলেও সাম্প্রতিক সময়ে সেই সংখ্যা বেড়ে গেছে। নতুন বিলে তেমন নৌকোয় আসা যাত্রীদের ২৮ দিন আটক রেখে বহিষ্কার করার কথা বলা হয়েছে। ‘মানবপাচারের’ অংশ হিসাবে যাঁরা আসবেন, তাঁদেরও একই শাস্তির মুখে পড়তে হবে। 
সুনকের এই বিল ও হুমকির সমালোচনা হয়েছে সংসদে ও বাইরেও। বিরোধী লেবার পার্টির বেশ কয়েকজন সাংসদ বলেছেন, এর ফলে সমস্যা কমবে না বরং যাঁরা এভাবে আসবেন তাঁদের বিপদ বেড়ে যাবে। সুনকের পালটা দাবি, এর ফলে শরণার্থী আসা কমবে। 


নজর কেড়েছেন ব্রিটেনের প্রাক্তন ফুটবল অধিনায়ক গ্যারি লিনেকার। এখন বিবিসি’র ধারাভাষ্যকার লিনেকার এই বিলকে ‘জঘন্যের থেকেও খারাপ’ বলে অভিহিত করে টুইট করেছেন। এমনকি নাৎসিদের কায়দা বলেও চিহ্নিত করেছেন। লিনেকারের এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। 
রাষ্ট্রসঙ্ঘের শরয়ার্থী সংস্থা এই বিলকে ‘খুবই উদ্বেগজনক’ বলে চিহ্নিত করে বলেছে, যাঁরা নিতান্ত বাধ্য হয়েই আসছেন তাঁদের বিরুদ্ধে যাবে এই পদক্ষেপ। সংস্থার ব্রিটেনের দায়িত্বপ্রাপ্ত হাই কমিশনার বলেছেন, এই বিল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। ১৯৫১ সালে স্বাক্ষরিত শরণার্থী কনভেনশনের বিরোধী এই বিল। 
ইউরোপের অনেক দেশেই শরণার্থী ও অভিবাসীদের বিরুদ্ধে প্রচার চলছে। অনেক সময়েই অতি দক্ষিণপন্থীরা এই প্রচারকেই হাতিয়ার করছে। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান এই বিল পেশের সময়ে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বলেছেন, যাঁরা আমাদের নির্বাচিত করেছেন তাঁদের ইচ্ছার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে শরণার্থীদের এভাবে ঢুকতে দেওয়া দেয় না।
 

Comments :0

Login to leave a comment