বিজেপি’র নির্ণায়ক গরিষ্ঠতা নেই। ভরসা রাখতে হচ্ছে এমন দুই শরিক দলের ওপর জোট বদলাতে যারা বিশেষ দক্ষ। সেই অবস্থায়, কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণের লক্ষ্য করলেন বিজেপি জোটের সংসদীয় দলের প্রধান নরেন্দ্র মোদী। সম্ভবত রবিবারই তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন তিনি।
মোদী বলেছেন, ‘‘কেবল এবারই বিজেপি যত আসন পেয়েছে পরপর তিনবারের তত আসন কংগ্রেস পায়নি।’’
মোদী বলেছেন, ‘‘আমরা হারিনি। আমাদের কেউ হারায়নি। আমরা বিজয় পেলে পরাজিতকে নিয়ে ব্যঙ্গ করি না।’’
‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চকে দুর্বল দেখানোর চেষ্টায় তৎপর থেকেছেন মোদী। তিনি বলেছেন, ‘‘পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি ‘ইন্ডি’ জোট ডুবছে। তার শরিকরাও ডুবছে। এবার আরও তাড়াতাড়ি ডুববে।’’
ফের কংগ্রেসকে নিশানা করে মোদী বলেছেন, ‘‘দশ বছরেও কংগ্রেস একশো আসনে পৌঁছাতে পারল না।’’
‘ইন্ডিয়া’-র ধাক্কায় বিজেপি এবার থেমে গিয়েছে ২৪০ আসনে। গত দু’বার একা বিজেপি টপকে গিয়েছিল লোকসভার নির্ণায়ক ২৬২ আসনের সীমা। বিজেপি’র কমেছে ৬০’র বেশি আসন। বিরোধীরা বলেছেন, এই রায়ে নরেন্দ্র মোদীর পরাজয় স্পষ্ট।
ফলে টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু এবং বিহারের জনতা দল (ইউ) নেতা নীতীশ কুমারের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে মোদীকে। মোদী সরকারের বদলে এখন বিজেপি’র সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এনডিএ সরকারের কথা বলা হচ্ছে।
উলটোদিকে কংগ্রেস নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবুর উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে চলেছে। তার ওপর মোদীর শপথ গ্রহণর আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী শেয়ার বাজারে ৩০ লক্ষ টাকা কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে বসে রয়েছেন। মোদী এবং তাঁর প্রধান সহকারী অমিত শাহের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে তদন্তের দাবি করেছেন। এই অবস্থায় নিজেকে শক্তিশালী প্রমাণের চেষ্টায় কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণ করলেন মোদী।
MODI CONGRESS
শরিকদের ভরসা দিতে কংগ্রেসকে আক্রমণ মোদীর
×
Comments :0