INFLATION MAY

খাদ্যের দামে চড়া বৃদ্ধি, দেখাচ্ছে পাইকারি সূচকও

জাতীয়

ক্রেতা মূল্য সূচক দেখিয়ে ক’দিন আগেই। এবার মে’র পাইকারি মূল্য সূচকও দেখাচ্ছে খাদ্যের দাম বাড়ছে চড়া হারে। মে’তে খাদ্যসামগ্রীর দাম বেড়েছে ৯.৮২ শতাংশ হারে, প্রায় দশ শতাংশ ছুঁইছুঁই। 
কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকও শুক্রবার স্বীকার করেছে যে মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ খাদ্যের দাম বেড়ে চলা। সেই সঙ্গে বাড়ছে কারখানায় উৎপাদিত সামগ্রী, খনিজের দাম। অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম, যার বেশিরভাগই আমদানি করতে হয়, তার দামে বৃদ্ধিকেও কারণ বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। 
পাইকারি বাজারে লেনদেন করে ব্যবসায়ী অংশ। তারপর তা বিক্রি করা হয় খুচরো বাজারে। যেখানে কেনাকাটা করেন ক্রেতাসাধারণ। পাইকারি বাজারে সব সামগ্রীর দামের বিচারে মূল্যবৃদ্ধির হার যদিও ২.৬১ শতাংশ। কিন্তু খাদ্যের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে মূল্যবৃদ্ধির হার এপ্রিলের ৭.৭৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯.৮২ শতাংশ। 
পরিবহণ জ্বালানির দাম সব জিনিসের দাম বাড়ার বড় কারণ, বারবারই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কম থাকলেও দেশের বাজারে নামে না। কেন্দ্রের বসানো কর এবং সেসে, সেই সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের কর যোগ হয়ে চড়া থাকে বরাবর। নরেন্দ্র মোদীর দশ বছরে পেট্রোলের তো বটেই, গণপরিবহণের জ্বালানি ডিজেলের দামও একশো ছুঁয়ে নিয়েছে। 
পাইকারি মূল্য সূচক দেখাচ্ছে, মে’তে সবজির দাম বেড়েছে ৩২.৪২ শতাংশ হারে। পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির হার ৫৯.০৫ শতাংশ, আলুর ৬৪.০৫ শতাংশ। ডালে মূল্যবৃদ্ধির হার ২১.৯৫ শতাংশ। 
মজুরি বা বেতন, দেশের শ্রমজীবীর বেশিরভাগ অংশেরই, এই হারে বাড়ছে না। ফলে চাহিদার সঙ্কট তৈরি হচ্ছে। 
মে’তে খুচরো বাজারেও চড়া খাদ্যের হার দেখা গিয়েছে। চলতি সপ্তাহেই ক্রেতা মূল্য সূচক জানিয়েছে মে’তে খাদ্যে মূল্যবৃদ্ধির হার ৮.৬৯ শতাংশ। সবকির দাম বেড়েছে ২৭.৩৩ শতাংশ হারে।

Comments :0

Login to leave a comment