EVM MUSK RAHUL

ইভিএম বিতর্ক তুঙ্গে ফের, জড়ালেন মাস্ক-চন্দ্রশেখর-রাহুল

জাতীয়

বৈদ্যুতিন ভোটিং মেশিন বা ইভিএম কি বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব? বদলে দেওয়া যায় ভেতরে থাকা তথ্য? কারচুপি করা যায় ভোটে?
মুম্বাই উত্তর পশ্চিম কেন্দ্রে বিজেপি’র জোটসঙ্গী সাংসদের জয় সামনে এনেছে এই বিতর্ককে। সংশয় আরও বাড়ালেন সোশাল মিডিয়া ‘এক্স’ (অতীতে ‘টুইটার’) মালিক এলন মাস্ক। মত এবং পালটা মতে জড়িয়ে গেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী থেকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপি’র রাজীব চন্দ্রশেখরও। 
মাস্ক আদতে মন্তব্য করেছিলেন পুয়ের্তো রিকোর নির্বাচন নিয়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনীতিবিদ রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র পুয়ের্তো রিকোর ভোটে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ সংক্রান্ত পোস্ট করেন। মাস্ক লেখেন, ‘‘আমাদের বৈদ্যুতিন ভোটিং যন্ত্র বাতিল করা উচিত। মানুষ অথবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে এই যন্ত্র হ্যাক করার সম্ভাবনা এখনও অত্যন্ত বেশি।’’
পোস্ট ঘিরে শোরগোল হওয়ায় জবাব দিতে নামেন চন্দ্রশেখর। তিনি লেখেন, ‘‘মাস্কের বক্তব্য আমেরিকা বা অন্য দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে। কিন্তু ভারতীয় ভোটিং মেশিন বিশেষভাবে তৈরি, সুরক্ষিত, সংযোগহীন। কোনও ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, ইন্টারনেট দিয়ে এই মেশিনে ঢোকার রাস্তা নেই। কারখানয় তৈরির সময় যে প্রোগ্রাম করা হয় তা বদলানোর কোনও সুযোগও নেই।’’ মাস্ককে খোঁচা দিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘চাইলেন এলনের জন্য আমরা টিউটোরিয়ালের ব্যবস্থা করতে পারি।’’
কিছু পরেই মাস্ক মন্তব্য করেন, ‘‘যে কোনও কিছুই হ্যাক করা যায়।’’ 
ভারতে, বিশেষ করে, কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি সরকার গঠনের পর থেকে ইভিএম নিয়ে শঙ্কা বেড়েছে। তার অন্যতম কারণ নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতাই প্রবল প্রশ্নের মুখে। এবারের নির্বাচনেও ইভিএম নিয়ে একের পর এক অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’। 
রাহুল তারই জের টেনে লিখেছেন, ‘‘ভারতে ইভিএম ‘ব্ল্যাক বক্স’। কাউকে এই যন্ত্র পরীক্ষা করার অনুমতি দেওয়া হয় না। গুরুতর প্রশ্ন উঠছে আমাদের নির্বাচনের স্বচ্ছতায়।’’
এরপরই নির্বাচন কমিশনকে নিশানায় রেখে রাহুলের মন্তব্য, ‘‘সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান দায়বদ্ধ না থাকলে গণতন্ত্র প্রহসন হয়ে দাঁড়ায়, জালিয়াতির প্রবণতা বাড়ে।’’  
রাহুল সবিস্তারে উল্লেখ করেছেন মুম্বাই উত্তর পশ্চিমে ৪৮ ভোটে বিজেপি সঙ্গী শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে) প্রার্থী রবীন্দ্র ওয়েকরকে ঘিরে বিতর্কের। ওয়েকরের সঙ্গী নাকি গণনাকেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহার করেছিলেন। নির্বাচন কমিশনের এক কর্মীর মোবাইল ব্যবহার করেন বলে দাবি। আরও বক্তব্য, ইভিএম আনলক করার ওটিপি’র জন্য মোবাইল ব্যবহার করা হয়। মাস্কের টুইটও পোস্ট করেন তিনি। 
বিজেপি এবং কমিশন যে বলে চলেছে ইভিএম সব নেটওয়ার্কের বাইরে থাকে। প্রশ্ন উঠছে, তা’হলে মোবাইল এবং ওটিপি’র কথা আসছে কেন। ঘোরালো বিতর্কের মধ্যে নির্বাচন কমিশন চুপ কেন, উঠেছে সে প্রশ্নও।

Comments :0

Login to leave a comment