EVM OTP RO

ওটিপি দিয়ে ইভিএম খোলার দাবি মিথ্যে, বলছেন রিটার্নিং অফিসার

জাতীয়

ওটিপি বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ইভিএম খোলার দাবি সম্পূর্ণ অসত্য। মুম্বাইয়ে ইভিএম বিতর্কের জেরে রবিবার বললেন মুম্বাই উত্তর পশ্চিম কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার বন্দনা সূর্যবংশী। তাঁর দাবি, বৈদ্যুতিন মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালট বা ইটিপিবিএস- গোনা হয় ব্যালটে, বৈদ্যুতিন প্রক্রিয়ায় নয়। তাই এখানেও কোনও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার বিষয় নেই।
ইটিপিবিএস বা বৈদ্যুতিন প্রক্রিয়ায় পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ ভোটে যুক্ত কর্মীদের। মুম্বাই উত্তর পশ্চিম কেন্দ্রে হারজিতের ব্যবধান মাত্র ৪৮ হওয়ায়, এই বৈদ্যুতিন প্রক্রিয়ায় পাঠানো পোস্টাল ব্যালটের ভোটও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। 
মাত্র ৪৮ ভোটে মুম্বাই উত্তর পশ্চিম কেন্দ্রে জয়ী হন এনডিএ জোটের শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে) প্রার্থী রবীন্দ্র ওয়েকর। তাঁর শ্যালক গণনাকেন্দ্রেই ব্যবহার করেছিলেন মোবাইল ফোন। ওই ফোনটি আবার গণনাকেন্দ্রে যুক্ত এক নির্বাচনকর্মীর। 
ওয়েকরের শ্যালক পুলিশকে বলেন, ইভিএম খোলার ওটিপি পাওয়ার জন্য ওই ফোনটি ব্যবহার করেছিলেন তিনি। তবে নির্বাচন কমিশন দাবি করে এসেছে যে মোবাইল বা বাইরের কোনও যন্ত্রের সঙ্গে ইভিএম-র সংযোগ থাকে না। তাই ‘হ্যাক’ করা যায় না। রবিবার ফের সেই যুক্তি দিয়েছেন সূর্যবংশী। 
তুমুল বিতর্কের জেরে সাংসদের শ্যালক মঙ্গেশ পান্ডিকরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে মুম্বাই পুলিশ। কিন্তু ইভিএম ঘিরে বিতর্কের আবহে এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি উঠছে। এমনকি সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতেও ইভিএম সুরক্ষার তদন্ত করানোর দাবিও উঠেছে। 
মুম্বাই উত্তর পশ্চিম কেন্দ্র থেকে জয়ী হন শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে) সাংসদ রবীন্দ্র ওয়ায়কর। পুনর্গণনায় কারচুপির অভিযোগ আগেই নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছিলেন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী শিবসেনা (উদ্ধব থ্যাকারে) প্রার্থী অমল গজানন কীর্তিকর। ব্যবধান খুবই কম বলে পোস্টাল ব্যালট বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এমনকি বৈদ্যুতিন প্রক্রিয়ায় ভোট দিয়ে পাঠানো পোস্টাল ব্যালটে কারচুপির শঙ্কাও রয়েছে। সূর্যবংশী যদিও সেই শঙ্কাকে অমূলক দাবি করেছেন। 
তিনি বলেছেন, ‘‘মুম্বাই উত্তর পশ্চিম কেন্দ্রের মূল বিষয়টি হলো গণনাকেন্দ্রে মধ্যে বিনা অনুমতিতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়েছে। সেই ফোন ব্যবহারের অনুমতি যাঁর ছিল তার থেকে ফোনটি নিয়েছেন এক প্রার্থীর প্রতিনিধি। তার জন্য ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’’
রবিবার দিনভর বিতর্ক চেগে উঠলেও চুপ করে ছিল নির্বাচন কমিশন। পরেও যাঁকে নামিয়েছে তিনি একটি কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার। দিল্লিতে কমিশনের দপ্তর থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি রবিবার রাতেও। এদিনই আবার টেসলার প্রধান এবং ধনকুবের ব্যবসায়ী এলন মাস্ক ইভিএম হ্যাক করার সম্ভাবনায় সায় দেন অন্য একটি প্রসঙ্গ। সেই বক্তব্যও ভারতের রাজনৈতিক মহলে আলোড়ান ফেলেছে। 
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, ইভিএম কাউকে পরীক্ষা করতে দেয় না নির্বাচন কমিশন। বস্তুত বারবারই কমিশন ইভিএম-কে সংযোগরোধী দাবি করলেও বিভিন্ন অংশেরই দাবি যন্ত্রে বাইরে থেকে কারসাজি করা যায়। কমিশন এত নিশ্চিত হলে কাউকে পরীক্ষাই বা করতে দেয় না কেন, রয়েছে সে প্রশ্নও।

Comments :0

Login to leave a comment