pension strike in france

ফ্রান্সে স্বৈরাচারী অবসর আইনের প্রতিবাদে ধর্মঘট

আন্তর্জাতিক

pension strike in france ক্যাপসন: নান্তেসে টিয়ার গ্যাসের শেল ফুটবলে শটের মতোই পুলিশের দিকেই ফিরিয়ে দিচ্ছেন প্রতিবাদী।

ফ্রান্সে অবসরের বয়স বাড়ানোর প্রতিবাদে ধর্মঘট। মঙ্গলবার বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের ডাকে দেশজুড়ে প্রতিবাদ দিবস পালিত হয়। ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ অবসরগ্রহণের বয়স ৬২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৪ বছর করার ঘোষণা করেছেন। এর বিরুদ্ধে গত জানুয়ারি মাস থেকে চলছে লাগাতার আন্দোলন। 
এদিন ছিল দেশব্যাপী চতুর্দশ প্রতিবাদ দিবস। সেই আন্দোলন সংগ্রামের অন্তর্গতই, গত সোমবার ৫ জুন বিকেল ৬টা থেকে ধর্মঘট শুরু হয়। বুধবার ৭ জুন সকাল ৭টা পর্যন্ত চলে ধর্মঘট। পাশাপাশি ৬ জুন প্রতিবাদ দিবসকে সামনে রেখে গোটা দেশে হয়েছে অজস্র প্রতিবাদ কর্মসূচি। আন্দোলনকারীরা ঘোষণা করেন সরকার একতরফাভাবে অবসর আইন চাপিয়ে দিলেও মেহনতিরা রাজপথ ছেড়ে নড়বেন না।
ম্যাক্রঁ সরকার সংসদে ভোটে না গিয়েই, সংবিধানের বিশেষ ক্ষমতাবলে অবসর আইন লাগু করেছে। তার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। পুরোটাই হয়েছে নয়া উদারনীতির পরিকল্পনা অনুসারে। মেহনতিদের বোকা বানিয়ে। ভোটের আগেই অর্থনীতির স্বার্থে যা জরুরি বলে ম্যাক্রঁ ঘোষণা করেছিলেন।

মঙ্গলবার ধর্মঘটের প্রভাবে প্যারিস বিমানবন্দরে বহু উড়ান বাতিল হয়। বন্ধ থাকে ট্রেন পরিষেবা। বিভিন্ন শহরে ২৫০টি বেশি মিছিল হয়। ‘‘ফ্রান্সের শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাসে আজকের দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ,’’ মঙ্গলবার বিএমএফ টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই কথা জানান দেশের বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়ন সিজিটি’র সাধারণ সম্পাদক সোফি বিনেট। তিনি বলেন, বিভিন্ন শহরে মিছিলে ৪-৬ লক্ষ মানুষ যোগ দেন।
মঙ্গলবার প্রতিবাদ দিবসে সারা দেশে বাড়ানো হয়েছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাজধানী প্যারিসে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। ধর্মঘট চলাকালীন নান্তেতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করে। অন্যদিকে উত্তর ফ্রান্সের লিল্লেতে নিরাপত্তা বাহিনীর বাধা ভেঙে শ্রমিকরা মিছিল করেন।


 

 

Comments :0

Login to leave a comment