Rahul Gandhi

বিরোধীদের কন্ঠরোধ করে লোকসভার অধিবেশন চালানো অসাংবিধানিক কাজ : রাহুল গান্ধী

জাতীয়

‘‘সংসদ দেশের মানুষের কথা উঠে আসে। আপনি সেই সংসদের চুড়ান্ত সিদ্ধান্তকারি। সরকারের রাজনৈতিক ক্ষমতা আছে ঠিক। বিরোধীরাও দেশের মানুষের কথা সংসদে তুলে ধরে। এবারের লোকসভায় গত বছরের তুলনায় বিরোধীদের সংখ্যা বেশি। আমরা বিশ্বাসী বিরোধীদের কথা বলার সুযোগ দিয়ে আপনি সংবিধানের মর্যাদা রক্ষা করবেন।’’ অষ্টাদশ লোকসভার অধ্যক্ষ নির্বাচনের পর বিরোধীদের পক্ষ থেকে বলতে উঠে একথা বলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
সপ্তদশ লোকসভার পর অষ্টাদশ লোকসভার অধ্যক্ষ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন ওম বিড়লা। ধ্বনি ভোটে কংগ্রেসের কে সুরেশকে তিনি পরাজিত করে জয়ী হয়েছেন। গত লোকসভায় তার ভূমিকা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলে ছিলেন বিরোধী সাংসদরা। শীতকালিন অধিবেশনে বেনজির ভাবে ১৪১ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করেন ওম বিড়লা। সেই সময় বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিলেন সংসদের অভ্যন্তরে তাদের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে। এদিন বলতে উঠে রাহুল গান্ধী সেই কথা ঘুরিয়ে মনে করিয়ে দিয়েছন ওম বিড়লাকে।
তিনি বলেন, ‘‘বিরোধীদের কন্ঠরোধ করে লোকসভার অধিবেশন চালানো অসাংবিধানিক কাজ। এই নির্বাচন দেখিয়ে দিয়েছেন দেশের মানুষ চাব যাতে বিরোধীরা দেশের সংবিধান রক্ষার কাজ করতে পারেন।’’
এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীরা ডাক দিয়েছিল সংবিধান বাঁচানোর। ইন্ডিয়া মঞ্চের প্রতিটা সাংসদ, তৃণমূল বাদে। হাতে সংবিধান নিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করেছেন।
এদিন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী জানিয়েছন সংসদের অদিবেশন চালানোর জন্য বিরোধীদের পক্ষ থেকে পূর্ন সহযোগীতা করা হবে। 
গত দুটি পর্বের তুলনায় এবার সংসদের বিরোধীদের শক্তি বেশি। যার ফলে প্রতিটা মুহুর্তে চাপে থাকতে হবে নরেন্দ্র মোদীকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে স্পিকার পদে নির্বাচন দিয়ে বিরোধীরা বুঝিয়ে দিলেন এবারের লোকসভায় কোন দাদাগিরি দেখাতে পারবে না এনডিএ। পান থেকে চুন খোশলে তাদের পড়তে হবে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে।
অতীতে ১৯৫২ সালে এবং ১৯৭৬ সালে অধ্যক্ষ পদে নির্বাচন হয়েছিল। ১৯৫২ সালে প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু অধ্যক্ষ পদে জি ভি মলবনকরের নাম প্রস্তাব করেন। সেই প্রস্তাব মানতে চাননি ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ সিপিআই সাংসদ এ কে গোপালন সহ সিপিআই’র ১৬ সাংসদ। তাঁরা পালটা প্রার্থী দেন পিডব্লিউপিআই’র শঙ্কর শান্তারাম মোরেকে। ভোটাভুটিতে অবশ্য মলবনকরের কাছে বড় ব্যবধানেই পরাস্ত হন মোরে। আবার ১৯৭৫ সালের জুনে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণার পর সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়। তখন অধ্যক্ষ পদে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী প্রস্তাব করেন রঘু রামাইয়ার নাম। বিরোধিতা করে আদি কংগ্রেস সাংসদ এম মেহতা প্রস্তাব করেন জগন্নাথ রাও যোশীর নাম। ভোটে স্বাভাবিকভাবেই হেরে যান যোশী।

Comments :0

Login to leave a comment