Bangladesh Police Strike

৯ দফা দাবিতে কর্মবিরতি বাংলাদেশের পুলিশের

আন্তর্জাতিক

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে পড়ুয়াদের যে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন শুরু হয়েছিল তার জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্থফা দিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। তবে হাসিনা দেশ ছাড়লেও সিংসাত্মক বিক্ষোভ থামেনি বাংলাদেশে। ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি অনেক পুলিশ করমীও নিহত হয়েছেন। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার কয়েকশো থানায় অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর করা হয়েছে। নিরাপত্তাহীনতার ভুগছেন পুলিশ কর্মীরা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে পুলিশকর্মীদের সংগঠন। মঙ্গলবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ৯ দফা দাবি জানিয়ে কর্মবিরতির ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ পুলিশ সংগঠন। সাম্প্রতিক অশান্তিতে পুলিশকর্মীদের খুনে অভিযুক্তদের সাজা ও ক্ষতিপূরণ সহ মোট ন’দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছে পুলিশকর্মীদের ওই সংগঠন। পুলিশের কর্মবিরতির কারণে এদিন ঢাকার রাস্তায় পুলিশের দেখা যায়নি। ছাত্র-যুবদের রাস্তায় নেমে ট্র্যাফিক সামলাতে দেখা গেছে বলে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এদিন পুলিশ সংগঠনের  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘‘গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকে সারা দেশে পুলিশ সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা, পুলিশ সদস্য খুন, থানা ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। দেশে প্রায় ৪৫০টি থানা আক্রমণ করে অগণিত পুলিশ কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, যা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সামিল। এহেন পরিস্থিতিতে পুলিশ কর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ পুলিশের কর্মচারী সংগঠন ৬ আগস্ট থেকে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করছে।’’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশের আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘বাংলাদেশ পুলিশ সরকারের অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠান। সরকার যা করতে বলবে, পুলিশ তাই করতে বাধ্য। এখানে পুলিশ কর্মীদের নিজস্ব ভূমিকা রাখার সুযোগ কম। ফলে পুলিশ কর্মীরা সরকারের আদেশে অনেক অনৈতিক কাজ করেছে। জনসাধারণের সঙ্গে পুলিশ অন্যায় করেছে, এটা ঠিক। তবে সেটা নির্দিষ্ট কিছু পুলিশ সদস্য, সবাই না।
ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মীদের নামিয়ে এখন আত্মগোপনে রয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে কোনো বার্তা পাচ্ছিনা। ওই সকল পুলিশ আধিকারিকদের প্রকাশ্যে এনে এর জবাব দিতে হবে।’’
এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করে পুলিশের কয়য়েকজন কর্মী জানিয়েছেন, ‘‘ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের কারণে আজ এই বিভীষিকা। আমাদের যেভাবে নির্দেশ দিয়েছে আমরা আমরা সেভাবেই কাজ করেছি। এখন আন্দোলনকারীদের মূল টার্গেট আমরা, আশঙ্কায় ভুগছি। শত শত পুলিশ নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুর মুখে পড়ছি।’’

Comments :0

Login to leave a comment